

পোস্তায় নষ্ট হাজার হাজার পিস চামড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৪ পিএম, ২৪ জুলাই,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৪৬ পিএম, ২৮ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৩

ঈদের তৃতীয় দিনও রাজধানীর কোনো কোনো আড়তে চলে চামড়া সংরক্ষণের কাজ। আসতে থাকে পশুর চামড়াও। এবার লবণ আর শ্রমিক সংকটে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চামড়া সংরক্ষণে বেগ পেতে হয়েছে বলে জানান আড়তদাররা। নষ্টও হয়েছে কয়েক হাজার গরুর চামড়া।
তবে হঠাৎ করে লবণের দাম বেড়ে যাওয়ায় ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাড়ে ৬০০ টাকার লবণ ১৪০০ টাকায়ও পাইনি। এ কারণে এ বছর আমার সাড়ে ৪ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। সৎ পথে ব্যবসা করি, তারপরও কেনো আমরা অসহায়।
তার মতো আরেক ব্যবসায়ী বলেন, এ বছর যে চামড়ার সরবরাহ এতো বেড়ে যাবে বুঝতে পারিনি। যে কারণে লবণের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
পোস্তায় গরুর মাথার চামড়া আর খাসি-বকরির চামড়ার দাম না পাওয়ায় বেশিরভাগই রাস্তায় ফেলে দেন ফড়িয়ারা। তৃতীয় দিন দুপুর থেকেই সিটি করপোরেশন ট্রাকে-ট্রাকে অপসারণ করে সেসব বর্জ্য।
ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা জানান, ছাগলের চামড়ার দাম বলা হয় ১০ টাকা। কেউ ১০ টাকায় চামড়া বিক্রি করে না। সেগুলো পরে ফেলে দেওয়া হয়। তারা বলেন, খাসির চামড়া পেছনে শ্রম দিয়ে যে দাম পাওয়া যায় তাতে লোকসান হয়। এ কারণে এবার খাসির আর গরুর মাথার চামড়া ফেলে দিয়েছি।
আকস্মিক লবণ ও শ্রমিক সংকট হলেও ঢাকায় ১০ শতাংশের বেশি চামড়া নষ্ট হয়নি বলে দাবি কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের। তবে চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ কয়েকটি জেলায় বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আফতাব খান বলেন, ঢাকার বাইরের শুধু দুটো জেলা সিলেট এবং চট্টগ্রামের ব্যাপারে খারাপ খবর পাচ্ছি। তবে উত্তরবঙ্গের অবস্থা ঢাকার মতোই।
তিনি বলেন, পোস্তায় দু-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে কিছু চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। এর কারণ চামড়াগুলো দেরিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এবার পোস্তায় সর্বোচ্চ ১ লাখ ৬০ হাজার পিসসহ ঢাকা জেলায় চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ।