রবিবার থেকে ব্যাংক খোলা, লেনদেন দেড়টা পর্যন্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৩ এএম, ২৫ জুলাই,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৪৪ পিএম, ১১ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২৪
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। এ সময় সীমিত পরিসরে চলবে ব্যাংকিং কার্যক্রম। ঈদের ছুটি শেষে রবিবার (২৫ জুলাই) গ্রাহক চাহিদামতো শাখা খোলা থাকবে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে। লেনদেন-পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম বিকেল ৩টার মধ্যে শেষ করতে হবে। স্বাভাবিক সময়ে ব্যাংকগুলোর সব শাখা খোলা থাকে। ব্যাংকিং সেবা দেয় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালুর বিষয়ে গত ১৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন নির্দেশনা জারি করে। নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে) বিধিনিষেধ চলাকালে সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে ব্যাংক। এ সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে। লেনদেন-পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন করে সীমিত সংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগসমূহসহ ব্যাংক স্বীয় বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখতে পারবে।
বিধিনিষেধ চলাকালে যেসব ব্যাংকিং সেবা চালু রাখতে হবে :
১. গ্রাহকদের হিসাবে নগদ, চেকের মাধ্যমে অর্থ জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট, পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ, বৈদেশিক রেমিটেন্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় প্রদত্ত ভাতা, অনুদান বিতরণ, একই ব্যাংকের খোলা রাখা বিভিন্ন শাখা ও একই শাখার বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধা সম্বলিত ব্যাংকের সকল গ্রাহকের এবং উক্ত সুবিধা বহির্ভূত ব্যাংকের খোলা রাখা শাখার গ্রাহকদেরকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমস্ ও ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা প্রদান এবং জরুরি বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত কার্যাবলী চলবে।
২. কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
৩. এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
৪. সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপ-শাখা ও বুথ সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন নিশ্চিতপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫. বিধিনিষেধ চলাকালে যেসব শাখা বন্ধ থাকবে সেসব শাখার গ্রাহকসেবা কার্যক্রম খোলা রাখা শাখার মাধ্যমে সম্পাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বন্ধকৃত শাখার গ্রাহকগণের গ্রাহকসেবা প্রাপ্তি বিষয়ে অবহিত করতে শাখার দৃশ্যমান স্থানে তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রদর্শন নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশনের জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, বিধিনিষেধ চলাকালে ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্ব স্ব অফিসে যাতায়াতের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলাচলের সময় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্র বহন করতে হবে।