ই–অরেঞ্জকে ৭ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসেব দিতে নোটিশ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ১৮ আগস্ট,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২৫ পিএম, ৪ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আগামী সাত দিনের মধ্যে গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত সম্পদ, দায় ও চলতি মূলধনের পরিমাণ কত, তার হিসেব দিতে হবে ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ই–অরেঞ্জকে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল থেকে দেওয়া এক নোটিশে এই সময় বেধে দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, একই সময়ের মধ্যে সরবরাহকারীদের কাছে বকেয়া থাকলে তার পরিমাণ, এখন পর্যন্ত টাকা নিয়েও পণ্য দেওয়া হয়নি, এমন গ্রাহক কত এবং গ্রাহকের কাছ থেকে কী পরিমাণ অর্থ নেওয়া হয়েছে, তার পরিমাণ জানাতে হবে।
এরআগে গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক মামলার প্রেক্ষিতে বিকেলে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন প্রতিষ্ঠানটির সত্বাধীকারী সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান। এসময় তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন না দিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
তাহেরুল ইসলামের দায়ের করা মামলা সম্পর্কে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, একজন গ্রাহক বাদী হয়ে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। মামলার আসামিরা হলেন: মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ, সোনিয়া মেহজাবিনসহ ই-অরেঞ্জের সব মালিকরা। মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের প্রত্যেককেই ই-অরেঞ্জের মালিক বলে দাবি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গ্রাহকেরা গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনার জন্য টাকা দিয়েছেন, যেসব পণ্য একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ই-অরেঞ্জ কোম্পানির ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভুক্তভোগীদের পণ্য সরবরাহ না করে তারা প্রতারণা করে যাচ্ছে। এই ভুক্তভোগীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ। ভুক্তভোগীরা ই-অরেঞ্জের অফিসে গিয়ে পণ্য সরবরাহ চাইলে জানানো হয়, কিছুদিনের মধ্যে পণ্যগুলো সরবরাহ করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত পণ্য সরবরাহ করা হয়নি।
এছাড়াও মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ই–অরেঞ্জের ভুক্তভোগী বাইক ও ভাউচারের ক্রেতারা র্যালি ও মানববন্ধন করেন। প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষের বিদেশযাত্রা স্থগিত এবং ভুক্তভোগীদের পণ্য বা সমপরিমাণ টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন