ব্যবসা বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান মালিকরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪০ এএম, ৩ জানুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৩৮ এএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রুগ্ন-শিল্পের পুনর্বাসন ও দায়দেনা নিষ্পত্তির জন্য ২০০৯ সালে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করেছিল। তারা গার্মেন্টস, টেক্সটাইল ও নন-টেক্সটাইল এই তিন শ্রেণিতে রুগ্ন-শিল্পকে ভাগ করে।
পরবর্তীতে টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সার্কুলার জারি করে গার্মেন্টসের ২৭৯টি ও টেক্সটাইলের ১০০টি কারখানার দায়দেনা অবসায়ন করেছিল সরকার। কিন্তু নন-টেক্সটাইল খাতের কোনো কারখানা এখনো এ সুবিধা পায়নি। এসব শিল্প রুগ্ন হলেও ব্যাংকগুলোর মালিকদের খেলাপি দেখিয়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করেছে। সে কারণে নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগও গ্রহণ করতে পারছেন না তারা। টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সার্কুলার জারির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে নানা সময়ে বৈঠক করলেও এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চাচ্ছেন রুগ্ন-শিল্পের মালিকরা। গতকাল রবিবার রুগ্ন-শিল্পের পুনর্বাসন সংক্রান্ত এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এসব কথা বলেন মালিকরা।
এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির চেয়ারম্যান ছাদেক উল্ল্যাহ চৌধুরী বলেন, রুগ্ন-শিল্পের পুনর্বাসনের জন্য ১৯৯৮ সালে মুন্সেফ কমিটি গঠিত হয়েছিল। রুগ্ন-শিল্প পুনর্বাসনে ১০০ কোটি টাকার তহিবল গঠন করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। পরে এ সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০০৮ সালে এফবিসিসিআইর উদ্যোগে নতুন করে রুগ্ন-শিল্পের ডাটাবেজ তৈরি হয়।
স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। তিনি জানান, রুগ্নশিল্পকে সহায়তা ও পুনর্বাসনের জন্য এফবিসিসিআইতে একটি আলাদা ডেস্ক গঠন করা হবে। একই সঙ্গে প্রত্যেকটি চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনকে তাদের আওতাভুক্ত শিল্পের রুগ্ন প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরির জন্য চিঠি দেয়া হবে। তালিকা পাওয়ার পর অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নতুন করে রুগ্ন হওয়া শিল্পকে পুনর্বাসনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেব এফবিসিসিআই। এছাড়া রুগ্ন-শিল্পকে বাঁচাতে এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
কমিটির ডিরেক্টর-ইন-চার্জ তাহমিন আহমেদ বলেন, রুগ্ন-শিল্পের মালিকদের বাঁচাতে সহায়তা কামনা এবং পোশাক ও বস্ত্রখাতের বাইরে থাকা রুগ্ন কারখানার ঋণ দায়মুক্তির অনুরোধ করে শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানো হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন এ. ফেরদৌস, এম নজরুল ইসলাম, সরকার মো. সালাউদ্দিন, এ. কে. এম. খোরশেদ আলম খানসহ অন্য সদস্যরা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।