

কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চলে রমজান ঘিরে পন্যের পাইকারী-খুচরা দামে তফাৎ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ৩ এপ্রিল,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৩৩ পিএম, ১ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২৩

কুমিল্লার দক্ষিনাঞ্চলের লাকসাম, লালমাই, বরুড়া, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন হাটে-বাজারে আসন্ন রমজান মাস ঘিরে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের পাইকারী ও খুচরা দামে বড় তফাত পরিলক্ষিত হচ্ছে।
ওইসব অসাধূ ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এতে সকল পেশার মানুষ ওইসব ব্যবসায়ীদের হাতে হচ্ছেন প্রতারিত। মহামারী করোনাকালেও ওইসব ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব কমাতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন।
জেলা দক্ষিনাঞ্চলের একাধিক ভুক্তভোগী জানায়, পাইকারী আড়তে বিভিন্ন পন্যের দামের বিপরীতে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পন্যর দাম ১৫/২০ টাকা বেশি। কোন কোন ক্ষেত্রে আরো ৫/১০ টাকা বেশী দাম দিয়ে প্রয়োজনীয় পন্য কিনতে হয় ক্রেতাদের।
পাইকারী বাজারে চিনি ৬০/৬২ টাকা খুচরা বাজারে ৭০/৭২ টাকা পেয়াজ ২৫/২৬ টাকার স্থলে ৩০/৩২ টাকাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের প্রত্যেকটির কেজি ১০/১৫ টাকা পার্থক্য রয়েছে। সবজির বাজার অনেকটা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে থাকলেও নতুন সবজি ৪০/৬০ টাকার নীচে পাওয়া যায় না।
অথচ দেশের বিভিন্ন জেলায় কাঁচামালের মোকাম কিংবা উৎপাদনস্থলে দাম তার অর্ধেক। বাজারে লেবুর তীব্র সংকট ফলে প্রতি হালি ৮০/৯০ টাকা। অথচ এ লেবু গত বছরের এ সময় ২৫/৩০ টাকা পাওয়া যেতো। শশা ও বেগুনের সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ার অশুভ প্রতিযোগিতায় নেমেছে কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা।
সূত্রগুলো আরো জানায়, গতকাল শুক্রবার মুসুর ডালের পাইকারী বাজার ছিল ৯০/৯৫ টাকা খুচরা ১১০/১৪০ টাকা। ভোজ্য তেল বিভিন্ন ব্যান্ডের কেজিতে ৪০/৫০ টাকা বেড়েছে।
লাকসাম,নাঙ্গলকোট ও বরুড়া পৌর শহরের বাহিরে বিভিন্ন পন্যের মূল্য পাইকারী দামের চাইতে খুচরা বাজারে কোন কোন পন্যে প্রতি কেজি ১৫/২০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের পাইকারী ও খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে আগের মতই ১৫/২০ টাকা পর্যন্ত পার্থক্য রয়েছে।
ক্রেতাদের কাছে এটা অস্বাভাবিক হলেও দোকানদাররা রয়েছে ফুরফুরে মেজাজে। বিভিন্ন পন্যের বাজারে প্রতি কেজি সর্বচ্চো ২/৫ টাকা পর্যন্ত কম বেশি হতে পারে। কিন্তু হাটে-বাজারে প্রচুর মালামালের সরবরাহ থাকা স্বত্ত্বেও পন্যের বাজারমূল্যে স্থানীয় বিভিন্ন পন্য সেন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাত বদল ও কমিশন বানিজ্যের কারনে ক্রেতাদের প্রতারিত করে ফায়দা লুটে নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
গরম মসল্লার বাজারেও আগুন, মুদি মালামালে কোন অজুহাত ছাড়াই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মূল্য। মাছ কিছুটা নিয়ন্ত্রনে থাকলেও মুরগী, গরু, খাসির মাংস ক্রয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। এছাড়া ভেজাল খাদ্যদ্রব্য তো আছেই এবং আসন্ন পবিত্র রমজান মাস ঘিরে গার্মেন্টস-কাপড় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট রয়েছে অনেকটাই তৎপর। সবচেয়ে চিনি, সেমাই, মুড়ি, লেবু, গুড়, খেজুর আকাশচুম্মি দামে সাধারন মানুষ হতভম্ব।
এ ব্যাপারে জেলা দক্ষিনাঞ্চলের স্থানীয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জানতে চাইলে তারা জনবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা জানালেও পন্যের বাজার দর নিয়ন্ত্রন সম্পর্কে মুখ খূলতে নিরব দর্শক। তারপরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগের আংশিক সত্যতা শিকার করলেও সন্দেহের তীরটা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দিকে ইংগিত করে বলছেন ভিন্ন কথা।