অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার সুপারিশ সিডিসির
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:২২ এএম, ১৩ আগস্ট,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫৭ এএম, ১১ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) বুধবার জানিয়েছে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ভ্যাকসিন দেয়া উচিত, কারণ তাদের একটি নতুন বিশ্লেষণে টিকা নেয়ার সঙ্গে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ার কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ প্রতিবেদন মতে সিডিসি জানিয়েছে, তারা নতুন ও পুরনো বিশ্লেষণে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের টিকা দানে কোনো নিরাপত্তা হুমকি খুঁজে পাননি।
মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটির মতে, ভ্যাকসিন নেয়া নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের হার স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে গর্ভপাতের হারের সঙ্গে তুলনীয়। অন্তঃসত্ত্বা নারীরা জরুরি ব্যবহারের জন্যে অনুমোদিত ফাইজার, মডার্না বা জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনের যেকোনো একটি নিতে পারবেন। এর আগে সংস্থাটি অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন ব্যবহারের সুপারিশ করেনি। তবে তারা নারীদেরকে ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়টি নিয়ে তাদের চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করতে বলেছিল। সিডিসির প্রজনন স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরি প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা দলের প্রধান সাশা এলিংটন জানান, অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ক্ষেত্রে টিকা নেয়ার হার এখনো অনেক কম। মাত্র ২৩ শতাংশ অন্তঃসত্ত্বা নারী অন্তত একটি ডোজ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা অন্তঃসত্ত্বা নারীদের টিকা নেয়ার এই হারটি বাড়াতে চাই। সংস্থাটি স্ত্রী ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞদের ভ্যাকসিনদাতায় রূপান্তরিত করার কৌশল নিয়ে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা চাই নারীরা সুরক্ষিত থাকুক। আমরা কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখতে পাচ্ছি না এবং আমরা বলতে পারি ভ্যাকসিন দেয়ার সুফলগুলো সম্ভাব্য ও অজানা ঝুঁকির চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সিডিসির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গর্ভধারণের কারণে করোনায় আক্রান্ত নারীদের মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং গর্ভধারণ অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হলে নির্ধারিত সময়ের আগে সন্তান জন্ম দেয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
সিডিসি জানিয়েছে, তারা এখন ১২ বছর ও এর চেয়ে বেশি বয়সী মানুষদের করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার সুপারিশ করছে। এ তালিকায় অন্তঃসত্ত্বা নারী, সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মা, গর্ভধারণের চেষ্টা করছেন বা অদূর ভবিষ্যতে সন্তান নেবেন এরকম সবাই রয়েছেন।
এলিংটন বলেন, আমরা প্রজনন ক্ষমতা নিয়ে বহুল প্রচারিত কাল্পনিক গল্পগুলো সম্পর্কে অবগত। এগুলোর কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই। এমন কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই যা দিয়ে এগুলোর সত্যতা প্রমাণ করা যায়। এই নতুন নির্দেশনা এসেছে এমন সময়ে যখন যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ ও হাসপাতালে রোগী ভর্তির হার গত কয়েক মাস ধরে বাড়ছে। আরকানসাস, ফ্লোরিডা, লুসিয়ানা ও মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের কয়েকটি হাসপাতালে কোনো শয্যা খালি নেই। এটি এখন আর যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে আটকে না থেকে দেশটির দক্ষিণে অরেগন ও ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে।