নিকারাগুয়ায় লোকদেখানো নির্বাচন আখ্যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:১৭ পিএম, ৩ জানুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৪৭ এএম, ১২ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর দেশটির একটি মন্ত্রণালয় ও ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া নিকারাগুয়ার নির্বাচনকে ‘লোকদেখানো’ নির্বাচন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি (রাজস্ব) ডিপার্টমেন্ট এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
গত ৭ নভেম্বর নিকারাগুয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসেন বামপন্থী গেরিলা নেতা ডেনিয়েল ওর্তেগা। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট হন তাঁর স্ত্রী রোজারিও মুরিল্লো। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিকারাগুয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ৭ নভেম্বর যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নিকারাগুয়ায় ওর্তেগা-মুরিল্লো ক্ষমতায় এসেছে তা অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি। নির্বাচনের আগের কয়েক মাসে ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালিয়েছে সরকার। ৩৯ ব্যক্তিকে কারাবন্দী করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতজন সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়া বিরোধী দলের সদস্য, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বছরের পর বছর ধরে নিকারাগুয়ার শাসনক্ষমতায় থাকা ওর্তেগা-মুরিল্লো সরকার দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে দিয়েছে। দুর্নীতি ও দায়মুক্তির সংস্কৃতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে তারা।
বিবৃতি অনুযায়ী, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা না করার প্রতিক্রিয়ায় নিকারাগুয়ার পাবলিক মিনিস্ট্রি এবং দেশটির ৯ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি খাতের নেতা, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারে পাবলিক মিনিস্ট্রি প্রাথমিক ভূমিকা পালন করে থাকে।
নিকারাগুয়ার যে ৯ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা রয়েছেন। ২০০৭ সালের ১০ জানুয়ারির পর থেকে যাঁরা নিকারাগুয়া সরকারের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন কিংবা আছেন তাঁদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। মার্কিন সরকারের অভিযোগ, এই ৯ জন কর্মকর্তা দমন-পীড়ন চালাতে ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে ওর্তেগা-মুরিল্লো সরকারকে সহযোগিতা করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই বিবৃতিতে নিকারাগুয়াকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া রাজনৈতিক বন্দীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি প্রদানেরও আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।