জাতিসংঘকে বাংলাদেশের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার আহ্বান ৭ মানবাধিকার সংস্থার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:৫৬ এএম, ৭ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:০১ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২৪
আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশি জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে আল জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লিখিত ইসরাইল থেকে অত্যন্ত সংবেদনশীল টেলিফোনে আড়ি পাতার যন্ত্র কেনার অভিযোগের ব্যাখ্যা চাইতে জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়েছে সাতটি মানবাধিকার সংস্থা।
এর আগে, আল জাজিরার ওই প্রতিবেদনকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যে অপপ্রচার চলছে তারই একটি অংশ ছাড়া আর কিছুই নয়’ বলে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ সরকার।
আজ শনিবার নিউইয়র্কভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারাও চায় যে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘ আলোচনা করুক।
হিউমেন রাইটস ওয়াচের ইউএন পরিচালক লুইস চারবানো বলেন, ‘এই অভিযোগের বিষয়ে জাতিসংঘের উচিত নিজস্ব তদন্ত চালানো এবং শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ ইউনিট ও ব্যক্তিদের মানবাধিকার রেকর্ডের বিষয়টি নতুন করে যাচাই করা।’ আগামী সপ্তাহে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সঙ্গে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী জানায়, সরঞ্জামটি ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে একটি সেনা কন্টিনজেন্টে মোতায়েন করার জন্য।’ গত ৪ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টে এ ধরনের সরঞ্জাম ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘকে বাংলাদেশের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস, দ্য এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন, দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাগেইনস্ট টর্চার, দ্য এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস এবং ইলিয়স জাস্টিস।
এদিকে,জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেছেন, আল জাজিরার তথ্যচিত্রে যেসব ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের বর্ণনা দেয়া হয়েছে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের বাংলাদেশের সৈন্যদলে সেরকম কোন সরঞ্জাম নেই। কাতার ভিত্তিক ওই টেলিভিশন চ্যানেলের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন নজরদারি করার প্রযুক্তি ইসরায়েল থেকে আমদানি করেছে। তবে এর প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বলেছিল, শান্তিরক্ষা মিশনে ব্যবহারের জন্য হাঙ্গেরি থেকে সিগন্যাল সরঞ্জাম কেনা হয়েছিল। সেখানে কোন নজরদারি সরঞ্জাম কেনা হয়নি।