সাংবাদিকদের ওপর হামলা বন্ধের আহ্বান পুলিশের প্রতি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৪২ এএম, ৩১ মার্চ,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪৪ পিএম, ১৩ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৫
বিক্ষোভের রিপোর্ট কভার করতে যাওয়া মিডিয়ার সদস্যদের যাতে কোনো অফিসার কোনো ক্ষতি না করেন তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশ অফিসার এবং বিক্ষোভকারীদের হামলার ঘটনা তদন্তের আহ্বানও জানানো হয়েছে। নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে সিপিজে লিখেছে, বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর ২৫ ও ২৬ মার্চ রাজধানী ঢাকায় হামলা চালায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্যরা। এ সময় ওই বিক্ষোভ কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের লাঠি দিয়ে প্রহার করা হয়েছে। ২৬ মার্চ মোদি বিরোধী বিক্ষোভে ঢাকার পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুড়েছে। এ সময় বিক্ষোভ কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের আঘাত করা হয়েছে। এতে তারা আহত হয়েছেন। ২৯ মার্চ দেয়া ওই বিবৃতিতে সিপিজে আরো বলে, বিক্ষোভের ওই দুই দিনে বাংলাদেশে কমপক্ষে ১০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় এডভোকেসি গ্রুপ এবং মাল্টিমিডিয়া সার্ভিস সরবরাহকারী দৃক পিকচার লাইব্রেরির শেয়ার করা ডাটা অনুযায়ী, পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের হাতে কমপক্ষে ১৭ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে সিপিজের এশিয়া কর্মসূচি সমন্বয়ক স্টিভেন বাটলার বলেছেন, বিক্ষোভ কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর ক্ষুব্ধ হামলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে বাংলাদেশ পুলিশকে। তাদেরকে উল্টো উস্কানি না দিয়ে নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে হবে। সাংবাদিকদের ওপর এই নগ্ন হামলা একটি দেশের গণতন্ত্রের যে মূল ভিত্তি সেই সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাকে খর্ব করে। সিপিজেকে শেয়ার করা হয়েছে যেসব ডাটা তাতে দেখা যায়, আহতদের বেশির ভাগই ফটোগ্রাফার। বিক্ষোভকারী এবং পুলিশ অফিসাররা সাংবাদিকদের আঘাত করতে ব্যবহার করেছে পিস্তলের বাঁট, লাঠি, লোহার রড, পাথর, ইট। এ ছাড়া সাংবাদিকদের প্রতি রাবার বুলেটও ছোড়া হয়েছে। এতে বোঝা যায় যে, তাদের কেউ কেউ দীর্ঘ সময়ের জন্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে থেঁতলে যাওয়া, ফুলে যাওয়া, রক্তক্ষরণ, হাড় ভেঙে যাওয়া, কাঁধের হাড় সরে যাওয়া এবং মেরুদন্ডে ক্ষত। সিপিজে লিখেছে, এ বিষয়ে তারা ছাত্রলীগ এবং বাংলাদেশ পুলিশের সদর দফতরে ইমেইল করেছিল মন্তব্যের জন্য। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোনো জবাব যায়নি।
ওদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, বিক্ষোভ চলাকালে বাংলাদেশে ফেসবুক ব্লক করে দেয়া হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার কোনো কথা বলেনি। তারা জানায়নি যে, এই বিধিনিষেধে তারা নির্দেশ দিয়েছিল কিনা।