নিউজিল্যান্ডে কীভাবে ভালো করবে বাংলাদেশ : জানালেন রিয়াদ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:০৫ এএম, ৯ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৪৪ পিএম, ২ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
আর মাত্র দুই দিন। এরপরই মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে যাবেন তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। এখন যদিও জিমওয়ার্ক এবং প্র্যাকটিস চলছে। তবে পুরো দল একসাথে নয়। কোয়ারেন্টাইনে থাকার কারণে পুরো দলের একসাথে হওয়ার সুযোগ নেই। পাঁচজন, পাঁচজন করে গ্রæপে ভাগ হয়ে অনুশীলন করছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।
১০ মার্চ ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ হবে। ওইদিনই ক্রাইস্টচার্চ ছেড়ে কুইন্সটাউন যাবে জাতীয় দলের বহর। নিউজিল্যান্ড গিয়ে পৌঁছানোর পর সেই কুইন্সটাউনেই প্রথম পুরো দল একসঙ্গে অনুশীলন করবে। সেখানেই পাঁচদিনের ছোট্ট অথচ পূর্নাঙ্গ ও নিবিঢ় অনুশীলন ক্যাম্প হবে, যাতে পুরো দল একত্রে একসঙ্গে প্র্যাকটিস করবে। এরপর ডানেডিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে দল।
এখন যে প্র্যাকটিসটা হচ্ছে, তা কী প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল? কেমন হচ্ছে সে প্রস্তুতি? প্র্যাকটিস ফিল্ড, উইকেট তথা প্রস্তুতির ধরণ ও গতি-প্রকৃতি কী ঠিক আছে?
নানা কৌতুহলি প্রশ্ন ভক্ত ও সমর্থকদের মনে। দলের সবচেয়ে সিনিয়র সদস্য ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুউল্লাহ রিয়াদ মনে করেন, ‘সবকিছু ঠিকমতই চলছে।’
তার চোখে প্র্যাকটিসের সুযোগ সুবিধা দারুন। উইকেট ও আনুসঙ্গিক সুযোগ সুবিধাও দুর্দান্ত। এক কথায় ভাল প্র্যাকটিস হচ্ছে বলেই মনে হয় রিয়াদের, ‘মোস্ট ইম্পরট্যান্টলি আমরা প্র্যাকটিস করতে পারছি। ফ্যাসিলিটিজ ওয়ান্ডারফুল। উইকেটগুলাও খুব ভালো। তো খুব ভালো প্র্যাকটিসই হচ্ছে। যে দু’ঘণ্টা সময় পাচ্ছি, আমরা নিশ্চিত করছি যেন প্রোপার প্র্যাকটিস করতে পারি। আমাদের স্কিল ট্রেনিং, রানিং বা ফিটনেসের কাজ যদি থাকে, সেগুলো ওই সময়টাতে করছি। উপভোগ করছি।’
দুইদিন পরই কোয়ারেন্টাইন শেষ হবে। অন্য সবার মত রিয়াদেরও আশা, ‘ইনশাআল্লাহ্ দোয়া করছি, আমাদের সবার রেজাল্টটা যেন নেগেটিভ আসে। এরপর আমরা বাইরে (কুইন্সটাউন) যাব ইনশাআল্লাহ।’
তিনি এর আগেও নিউজিল্যান্ডে এসেছেন। বিশ্বকাপও খেলেছেন। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে এই নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো শতরানও আছে তার। এরপর ২০১৬-১৭ এবং ২০১৮ সালের নিউজিল্যান্ড সফরেও দলের সঙ্গী ছিলেন রিয়াদ।
তাই নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন খুব ভাল জানা তার। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে রিয়াদের মনে হয়, ‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনটা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং এবং আমাদের জন্য কোনোকিছুই এত সহজ হবে না।’
সেখানে ভাল করতে হলে করনীয় কী? রিয়াদের পরামর্শ, ‘ওভারঅল আমার মনে হয়, এজ অ্যা টিম আমাদের ভালো পারফর্ম করতে হবে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- তিন ডিপার্টমেন্টেই।’
নিউজিল্যান্ড টিম এখন খুব ভালো ফর্মে আছে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে। রিয়াদের কথা, ‘এ জিনিসগুলো মাথায় না এনে বরং আমরা আমাদের স্ট্রেন্থ এবং উইকনেসগুলোর দিকে ফোকাস করতে পারি, তাহলে আমাদের খেলার জন্যও ভালো হবে এবং আমি মনে করি আমাদের এগ্রেসিভ ক্রিকেট খেলার মনমানসিকতা থাকলে ইনশাআল্লাহ্ ভালো করব।’
সবার জানা নিউজিল্যান্ডের উইকেট বরাবরই ফাস্টবোলিং ফ্রেন্ডলি। বাউন্সটা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার পিচের চেয়ে বেশি। রিয়াদের তা খুব ভাল জানা। তাই টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেনের পরামর্শ, ‘এসব উইকেটে বাউন্সটা বরাবরই থাকে। তো বাউন্স এবং গতিটা কেমন থাকে উইকেটে গিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা এডজাস্ট করা খুবই ইম্পরট্যান্ট। সবসময় এটাই চেষ্টা করি এবং বাজে বলের ওয়েট করি। আমার কাছে মনে হয়, বেসিক ক্রিকেটটা ইম্পরট্যান্ট। বেসিক কাজগুলো যদি ঠিকমতো করতে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ্ শেষ রেজাল্ট ভালো হবে।’
রিয়াদের অনুভব, ব্যাটসম্যানদেও চেয়েও বোলারদের জন্য নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন বেশি চ্যালেঞ্জিং। সে চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার দাওয়াইও তার জানা।
তিনি বলেন, ‘এখানে লেন্থের বিষয়টা খুবই জরুরি। লেন্থে একটু বেখেয়াল হলেই বাউন্ডারি অপশনগুলো বেড়ে যায়। তো এ জিনিসগুলা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা ইজি বাউন্ডারি অপশন না দেই এবং ধারাবাহিকভাবে যথাযথ লাইন লেন্থ মেইনটেইন করি।’