অনেকটা বাধ্য হয়েই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে যান মাশরাফি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:২৭ এএম, ২৫ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৪৩ এএম, ৪ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২৪
২০১৭ সালে শ্রীলংকা সফরে গিয়ে আচমকা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। দেশের অন্যতম সফল এ অধিনায়কের অবসরের ঘোষণায় তখন অবাক হন ক্রিকেট-ভক্তরা। ফর্মে থেকেও মাশরাফি কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা আজও দেশবাসীর কাছে রহস্য। কুড়ি ওভারের এই ফরম্যাটে দুর্দান্ত খেলেন নড়াইল একপ্রেস। বিপিএলের বিগত আসরে দেখিয়েছেন নজরকারা পারফরম্যান্স। মাশরাফির নেতৃত্বে বিপিএলের কয়েকটি শিরোপাও জেতে তার দল। তবু কেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানালেন বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক। সেই রহস্যজটও এতদিন খোলেননি মাশরাফি। এবার সে বিষয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণভ্রমরা। সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মাশরাফি জানান, তার অবসরের সেই ঘোষণাটি নাকি অনিচ্ছাকৃত ছিল। একরকম বাধ্য হয়েই নাকি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে যান বলে দাবি মাশরাফির। মাশরাফির ভাষ্য, সরাসরি বলিÑ ওখানে আমার অবসর নিতেই হতো, এমন পরিস্থিতিই তৈরি হয়েছিল। পরিস্থিতি তার অনুকূলে ছিল না বলেও দাবি করেন সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক। শ্রীলংকা সফরের সেই স্মৃতি রোমন্থন করে মাশরাফি বলেন, আমি যখন শ্রীলংকা টিম হোটেলে পৌঁছাই, তখনই আমার সঙ্গে একটা বৈঠকে বসে টিম ম্যানেজমেন্ট। আমি তখনও টি-শার্ট, ট্রাউজার খুলে ফ্রেশ হইনি। ওই অবস্থায়ই বৈঠকে যেতে হয়। ওটার পরেই আমি বুঝতে পারি যে কিছু একটা ঘটছে। টি-টোয়েন্টি জিনিসটা যখনই আসে, তখনই দেখি যে একটা অন্যরকম কিছু। আমিও ভাবলাম সবার বিপক্ষে থাকার দরকার নেই। তখনই অবসরের ঘোষণা দিই। পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকলে কেন সে সময় ওয়ানডে থেকে অবসর নিলেন নাÑ এমন প্রশ্নে মাশরাফির জবাব, তখন আমি ওয়ানডে থেকেও কেন অবসর নেইনি এই প্রশ্ন আসতে পারে। কারণ আমিও একজন খেলোয়াড়। অবসরের বিষয়ে নির্বাচকরা ও কোচ কখনও তাকে ডেকে কথা বলেননি বলেও দাবি করেন মাশরাফি। বোর্ড তাকে আনুষ্ঠানিক অবসরের সুযোগ দিতে চাওয়া হলেও মাশরাফি রাজি হননিÑ এমন গুঞ্জনের বিষয়ে মাশরাফির জবাব, আনুষ্ঠানিক কোথায় কথা হয়েছে? সারা বিশ্বের আনুষ্ঠানিকতা আপনারা দেখেননি? এখানে তো বোর্ড সভাপতির ডাকার কথা না। সবার আগে নির্বাচকরা ও কোচ এভাবে বলবেন যে ঠিক আছে, তুমি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ১৮-২০ বছর খেলেছ। আমরা এখন এগোতে চাই। সামনের বিশ্বকাপে আমি খেলব না এটাই তারা চাচ্ছেন। বলতে পারত নির্দিষ্ট একটা ম্যাচ আছে ওটা তুমি খেলে সরে যেতে পারো। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে জানিয়ে দিতে পারত, গণমাধ্যমে এসে বলতে হবে এমন তো না। কেবল জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে পাপন ভাই আমাকে কিছু বলেছিলেন। কিন্তু আপনি যখন পেশাদার হবেন, তখন পেশাদারি মনোভাবই দেখাতে হবে। হতাশার সুরে মাশরাফি বলেন, আমার সময়ে আমি কার কাছে সহযোগিতা পেয়েছি? ২০১১ বিশ্বকাপের আগে চিকিৎসক আমাকে সুস্থ বলে প্রতিবেদন দেয়ার পরও আমাকে নেয়া হয়নি। এরপরে ২০১৭ সালে যখন আমি অবসরে গেলাম, তখনও আমি কাউকে কিছু বলিনি।