

অভাবের জীবন ছেড়ে না ফেরার দেশে বিশ্বের প্রথম নারী ধারাভাষ্যকার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:০০ এএম, ৬ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৪৫ এএম, ৩০ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৩

শেষ জীবনটায় তিনি ছিলেন শয্যাশায়ী। চরম আর্থিক সংকটে কাটছিল এক একটা দিন। অবশেষে সেই অভাবী জীবনকে বিদায় বললেন বিশ্বের প্রথম নারী ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার চন্দ্রা নাইডু। রবিবার ইন্দোরে ৮৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। চন্দ্রা শুধু ধারাভাষ্যকার হিসেবেই জনপ্রিয় ছিলেন না, তার আরেকটা বড় পরিচয় ছিল। তিনি ভারতের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক সিকে নাইডুর কন্যা। মনোরমাগঞ্জে হলকার স্টেডিয়ামের পাশেই থাকতেন, যে মাঠে তার বাবা অনেক রান করেছেন। ইন্দোরে সরকারি একটি মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যক্ষ ছিলেন চন্দ্রা। ১৯৯৫ সালে তিনি একটি বই লিখেন। বাবার স্মৃতি নিয়ে লেখা যে বইয়ের নাম 'সিকে নাইডু : এ ডটারস রিমেমবারস।' ১৯৭৬-৭৭ সালে প্রথম এমসিসি এবং বোম্বে ম্যাচের মধ্য দিয়ে ধারাভাষ্য জীবনে যাত্রা শুরু। এরপর এই অঙ্গনে ভালোই জনপ্রিয়তা কুড়ান। কিন্তু সেই আমলে টাকা-পয়সা সেভাবে রোজগার করতে পারেননি। স্বনামধন্য ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার সুশীল দোসির সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল চন্দ্রার। তাকে বড় বোনের মতো ভালোবাসতেন জানিয়ে দোসি বলেন, ‘বাবার মতো তিনিও প্রথম কিছু একটা করে দেখাতে চেয়েছিলেন। বাবার অনেক গুণই তার মধ্যে ছিল। চন্দ্রা খুবই সাহসী এবং নির্ভীক প্রকৃতির একজন ছিলেন। জীবনে তিনি কখনই সহজে হার মেনে নিতে পারতেন না। আমি তার ধারাভাষ্য ক্যারিয়ার দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি। যখন আমি অস্ট্রেলিয়াতে যাচ্ছিলাম ধারাভাষ্য দিতে (১৯৭৭-৭৮), তিনি আমাকে বিমানবন্দর পর্যন্ত দিয়ে এসেছিলেন। আমার বাবা মা তখন বেশ চিন্তায় ছিলেন। চন্দ্রা তাদের সঙ্গ দিতেন। দোসি যোগ করেন, ‘জীবনের শেষ দিনগুলো তাকে বিছানায়ই কাটাতে হয়েছে। তার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন বা বিসিসিআই (ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড) তাকে কোনো সাহায্য করেনি।