১৩ রান না দিয়ে পাকিস্তানের জয় কেড়ে নেয়া হয়েছে - শোয়েব
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:০২ এএম, ৬ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১০:২৯ পিএম, ৩ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স পার্কে ম্যাচটি হয়তো শেষপর্যন্ত সহজেই জিতত দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩১ রান। অতিমানবীয় কিছু না ঘটলে এ ম্যাচে স্বাগতিকদের জয় ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে পাকিস্তানের আশার প্রতীক হিসেবে ছিলেন ১৯২ রানে খেলতে থাকা ফাখর জামান। তখনই ঘটে অদ্ভুত রানআউটের কান্ড। লুঙ্গি এনগিডির করা শেষ ওভারের প্রথম বলটি লংঅনের দিকে খেলে দিয়ে সহজেই প্রথম রান নেন ফাখর, দৌড় দেন দ্বিতীয় রানের জন্য। চতুরতা দেখান প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক। লংঅফের ফিল্ডার এইডেন মারক্রামকে তিনি ইশারা করেন নন স্ট্রাইক প্রান্তে থ্রো করার জন্য। কিন্তু মারক্রাম থ্রো’টি করেন স্ট্রাইকিং প্রান্তেই। ডি ককের হাতের ইশারায় ঘুরে দেখেন ফাখর, তাতেই ঘটে সর্বনাশ। মারক্রামের সরাসরি থ্রো এসে ভেঙে দেয় স্ট্রাইক প্রান্তের স্ট্যাম্প। ফলে ১৯৩ রানে রানআউট হতে হয় ফাখরকে। দলের ১৭ রানের পরাজয়ের পাশাপাশি নিজের ডাবল সেঞ্চুরিটাও হাতছাড়া হয় ফাখরের। আউট হওয়ার আগে ১৮ চার ও ১০ ছয়ের মারে ১৫৫ বলে ১৯৩ রান করেন ফাখর। যা কি না ওয়ানডে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের বিশ্বরেকর্ড। ফাখর ভেঙেছেন ২০১১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেন ওয়াটসনের করা ১৮৫ রানের রেকর্ড। এ আউট নিয়েই এখন চলছে চারদিকে নানান আলোচনা। কেউ কেউ বলছেন ক্রিকেট স্পিরিটের পরিপন্থী কাজ করেছেন ডি কক। আবার কেউ কেউ সরাসরি তুলে ধরেছেন ক্রিকেটের আনুষ্ঠানিক নিয়ম। আইসিসির রুলবুকের ৪১.৫.১ এর অনুচ্ছেদে বলা আছে, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে ভুল পথে পরিচালিত করলে সেটিতে ৫ রান পেনাল্টি দেয়া হবে।