

চীন থেকে দেড়কোটি ডোজ টিকা আনার চেষ্টা অব্যাহত আছে - সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫২ এএম, ৮ জুন,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫৫ এএম, ২৯ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৩

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চীন সরকার থেকে দেড়কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা ‘সিনোভ্যাক’ কেনার জন্য সরকার অনুমোদন দিয়েছে। শিগগিরই এই টিকা দেশে আনার প্রয়াস অব্যাহত আছে।
আজ সোমবার স্পিকার শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। নেত্রকোণা-৩ আসনের অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীন সরকার থেকে ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার এসেছে। এই টিকা ২৫ মে থেকে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আরও ৬ লাখ ডোজ অনুদান হিসাবে শিগগিরই পাওয়া যাবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সেরাম থেকে তিনকোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের চুক্তি হয়েছিলো। এর মধ্যে ৭০ লাখ ডোজ পাওয়া গেছে। চুক্তি মোতাবেক বাকি ২ কোটি ৩০ লাখ ডোজ সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সেরামের সরবরাহকৃত ৭০ লাখ এবং ভারত সরকারের উপহারে পাওয়া ৩২ লাখ ডোজ; এই ১ কোটি ২ লাখ ডোজের মধ্যে ১ কোটি ডোজ টিকা প্রদান হয়েছে। রাশিয়া থেকে ১ কোটি ডোজ স্পুটনিক ভি কেনা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান মন্ত্রী। ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকাদান শিগগিরই শুরু হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। এই জন্য বিভিন্ন দেশ ও টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও দেশে টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য বিভিন্ন দেশ ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বেসরকারি চিকিৎসা সেবা আইন প্রণয়নের কাজ ২০০৮ সালে শুরু হলেও বিভিন্ন কারণে এখনো তা চূড়ান্ত হয়নি। পর্যায়ক্রমে এ আইনের সংস্কার কার্যক্রম করা হয়েছে। সবশেষ ২০১৯ সালে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ২০১৯ নামে ওই আইনটি প্রণয়নের কার্যক্রম মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আইনটি দ্রুত করার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মন্ত্রী জানান, বেসরকারি খাতে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মূল্য নির্ধারণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অক্সিজেন ব্যবহারের মূল্য এবং এক্স-রে ও সিটিস্ক্যানসহ ১০টি জরুরি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্য সহনশীল মাত্রায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ডেঙ্গু রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় আরও দুটি পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন হলে অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্যও নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।