নিখোঁজ সেই ইসলামী বক্তাকে নিয়ে সংসদে আলোচনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৫ এএম, ১৬ জুন,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:১২ পিএম, ১২ অক্টোবর,শনিবার,২০২৪
গত চার দিন ধরে নিখোঁজ আলোচিত ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের বিষয়টি এবার সংসদে তুলেছেন বিএনপির দুই এমপি।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিলের প্রস্তাবের ওপর এমপিদের বক্তব্যে এ বিষয়ে কথা বলেন তারা।
বিএনপির নারী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, কোথায় মামলা করব? কার কাছে অভিযোগ করব? কেউ তো জিডিই নিতে রাজি হচ্ছেন না- কথাটি বলছিলেন ত্ব-হার স্ত্রী। ত্ব-হা গত বৃহস্পতিবার (১০ জুন) থেকে নিখোঁজ এবং তার সাথে আরো তিন ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। এখন পর্যন্ত তাদের ব্যাপারে কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। একই সময়ে একই ধরনের অভিযোগ আমরা করতে দেখেছি চিত্র নায়িকা পরীমনিকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পরীমনি ভাগ্যবতী। কারণ, তার মামলা নেয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কিন্তু সেই সৌভাগ্য ত্ব-হার পরিবারের হয়নি। সেই সৌভাগ্য হয়নি বাংলাদেশের ৬০৪টি পরিবারের। যারা দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ তাদের ব্যাপারে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছু বলতে পারছে, না লোকাল পুলিশ স্টেশন কিছু বলতে পারছে। না সেই ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিএনপির এমপি অ্যাডভোকেট হারুনুর রশীদ বলেন, আলেম অর্থ আমি যেটুকু বুঝি যারা কোরআন এবং হাদিসের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাকারী। আজ তারা কিন্তু সাংঘাতিক নিপীড়নের মধ্যে আছেন। আজ আমাদের যে সমস্ত আলেম এ ধরনের রিমান্ড, গ্রেফতারের সম্মুখীন হয়েছেন তাদের দয়া করে মুক্তি দিন।
তিনি বলেন, (তা না হলে) নাগরিক উদ্বেগ এবং দেশে ভারসাম্যহীন অবস্থা তৈরি হবে। সারা বাংলাদেশে আপনি ধর্মীয় তাফসির বন্ধ করে দিয়েছেন। গত চার দিন ধরে পত্রপত্রিকায় আসছে আমাদের একজন বিশিষ্ট আলেম মো. আদনান নিখোঁজ। তার পরিবার তার সন্ধান দাবি করছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রংপুর থেকে ঢাকায় রওনা হওয়ার পর থেকে আবু ত্ব-হার খোঁজ মিলছে না। একই সঙ্গে তার সঙ্গে থাকা আব্দুল মুহিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির উদ্দীন ফয়েজেরও খোঁজ মিলছে না। ছেলের খোঁজ না পেয়ে উৎকণ্ঠায় ও উদ্বিগ্নে দিনরাত পার করছেন মা আজেদা বেগম। স্ত্রী সাবিকুন্নাহার হন্যে হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন একটু সহযোগিতার আশায়। এই চারদিনের প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন থানায় গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত একটি মামলাও করতে পারেননি তিনি। অবশেষে উপায় না পেয়ে শেষ ভরসা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে মা সম্বোধন করে সহায়তা চেয়ে একটি চিঠি লিখেছেন আবু ত্ব-হার স্ত্রী সাবিকুন্নাহার।