ঘর পাওয়া মানুষের হাসিই আমার কাছে বড় - প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৯ এএম, ২১ জুন,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৩৪ এএম, ১২ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৫
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৪০ পরিবারকে দুই শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রবিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের ৪৫৯টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন এসব মানুষের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, ঘর পাওয়া মানুষের হাসিই আমার কাছে বড়। দেশের উপজেলা প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তার প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের হাত থেকে জমির দলিল ও ঘরের চাবি বুঝে নেন ছিন্নমূল এসব পরিবার। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নিজ কার্যালয় থেকে কুড়িগ্রামের সদর, শেরপুরের ঝিনাইগাতি, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করার জন্য প্রথম প্রয়োজন শিক্ষা। দেশের মানুষকে চিকিৎসাসেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, গতকাল যারা ঘর পেয়েছেন তাদের কষ্ট দূর করা এবং তাদের মুখের হাসি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। ক্ষমতা মানে ভোগ বিলাস নয়। ক্ষমতা হলো মানুষের সেবা করা। মানুষের জন্য কাজ করা।
তিনি বলেন, আমি পুরো বাংলাদেশ ঘুরেছি। গ্রামে-গঞ্জে, মাঠে-ঘাটে। আওয়ামী লীগ অধিকার নিয়ে কাজ করে। জাতির পিতা মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দিয়েছেন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।
জানা গেছে, ঘরগুলো প্রদান করা হলে আশ্রয় আর আবাসনের সংস্থান হয়নি তাদের এবার মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে। জীবনের মোড় ঘুরে যাবে-তৈরি হওয়া এমন স্বপ্ন জাগানো ঘরগুলো এখন কেবল হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় আছে। প্রত্যেকটি ঘরে আছে ২টি কক্ষ, ১টি বারান্দা, ১টি বাথরুম ও রান্নাঘর। দুই শতাংশ জমির ওপর নির্মিত একেকটি ঘর পাবেন ভূমিহীনরা। আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় বরিশাল, ভোলা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কুড়িগ্রাম ও রাঙামাটিসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হতদরিদ্র পরিবারের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ঘরগুলো।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, ঘরের সঙ্গে দুই শতাংশ জমি হস্তান্তর করা হবে তাদের। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক এনামুল হক বলেন, বিদ্যুৎ পানি সব ধরনের নাগরিক সুবিধা এখানে রয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, আমার গ্রাম আমার শহরের পূর্ণ ভাবনা সেখানে প্রতিফলিত হবে। টাঙ্গাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার রানু আরা খাতুন জানান, প্রকৃত ভূমিহীনদের নির্বাচনের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ঘর পাওয়ার অপেক্ষায় তালিকাভুক্ত সাড়ে ৫৩ হাজার হতদরিদ্র পরিবার। এর আগে প্রথম দফায় ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর উপহার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।