বাজেট পলিশ করার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর বক্তব্য বোধগম্য নয় - অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৮ এএম, ২৭ জুন,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪৬ এএম, ৩ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আগামী অর্থবছরের বাজেটের কিছু এরিয়া পলিশ করার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা বোধগম্য নয় বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কারণ বাজেট প্রণয়নের সময় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবও গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ শনিবার অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত ও ২৩তম সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আপনাদের মতো আমারও বোধগম্য হয়নি। এটা নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললে জানা যাবে যে, তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে ভ্যাকসিন অনিশ্চয়তা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনাদের মতো ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে আমিও কনসার্ন। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। যত দ্রুত সম্ভব এটা আমাদের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেটা করা হচ্ছে। আপনারা শিগগিরই তার ফলাফল পাবেন। আগামী সোমবার থেকে সরকার সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন দিতে যাচ্ছে। এ সময় গরিবদের জন্য বিশেষ কোনো কর্মসূচি নেয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নিজে দেখাশোনা করেন। তিনি বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেবেন। তবে কী ব্যবস্থা, সে বিষয়ে অর্থমন্ত্রী কিছু বলেননি। নতুন করে লকডাউনের কারণে অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময় ভালোটাই প্রত্যাশা করি। এখনো আমাদের সেটাই প্রত্যাশা। আমাদের চলতি অর্থবছরে যে ধরনের টার্গেট ছিল, সেগুলো কিন্তু আমরা অর্জন করতে পেরেছি। এটা অবিশ্বাস্য মনে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে কঠিন খাত হলো রাজস্ব সংগ্রহ করা। সেখানেও আমাদের ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও প্রবৃদ্ধি আছে। যারা এক সময় বলেছিলেন রেমিট্যান্স আসবে না, প্রবাসীরা বেচাকেনা করে দেশে চলে এসেছেন বলে রেমিট্যান্স পাঠানোর মতো কেউ থাকবে না। কিন্তু সেগুলো সব সত্যি হয়নি। তবে যেটা সত্যি হয়েছে তা হলো- এদেশের মানুষ যারা বিদেশে আছেন প্রবাসী ভাই-বোনরা, তারা দেশকে ভালোবাসেন। দেশের জন্য দায়বদ্ধতায় তারা বিশ্বাস করেন। সেই দায়বদ্ধতার কারণে তারা সবকিছু মেনে নিয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত রেখেছেন।’ গতকালের সভায় রাশিয়া থেকে জরুরি ভিত্তিতে ৫ লাখ টন গম কেনাসহ ১৬টি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।