

নিজের নামে সোলার পার্ক চান না প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০০ এএম, ১১ আগস্ট,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৪১ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২৩

প্রস্তাবিত এক শ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সোলার পার্কের নামকরণ নিজের নামে করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে তিনি এ বিরোধিতা করেন। পরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘একনেক বৈঠক পর্যন্ত এর নাম ছিল শেখ হাসিনা সোলার পার্ক, মাদারগঞ্জ, জামালপুর।’ প্রধানমন্ত্রী এই নামকরণে ঘোরতর আপত্তি করেছেন। তিনি বলেছেন, এতে তার নাম থাকবে না। কমিটির সদস্যরা তার নামে নামকরণে একাধিকবার অনুরোধ করেন। নামকরণের বিষয়টি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে আগেই অনুমতি নেয়া হয়েছে বলেও বৈঠকে জানানো হয়।
সবাই বলেছেন, দেশের সব থেকে বড় সোলার পার্ক এটি, একটি আইকনিক প্রকল্প; এতে আপনার নাম থাকা উচিত। এ জন্য তাকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু জবাবে তিনি বলেছেন, হবে না, হবে না, হবে না। পরে তার জোর আপত্তির পর শেখ হাসিনা অংশটি বাদ দিয়ে নামকরণ করা হয় ‘সোলার পার্ক, মাদারগঞ্জ, জামালপুর।’ এই নামটির প্রস্তাবও প্রধানমন্ত্রী করেন বলে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান। ভারতীয় ঋণ থেকে এই সোলার পার্ক স্থাপন করা হবে বলেও তিনি জানান। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সোলার পার্ক স্থাপনে প্রচুর জমির প্রয়োজন। এই প্রকল্পে সাড়ে তিন শ একরের বেশি জমি দরকার হবে। এসব বিবেচনায় এ ধরনের প্রকল্পের যৌক্তিকতা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খান বলেন, ‘সোলার পার্ক স্থাপনে অনেক জমি প্রয়োজন হয়, এটা অস্বীকার করছি না। তবে এই পুরো জমিটাই খাস এবং অনাবাদি। এখানে কোনো চাষাবাদ হয় না। আর সোলার প্যানেল স্থাপনের পরে জমি অন্য কোনো কাজে লাগানো হবে কি না এ বিষয়ে কোনো চিন্তা করা হয়নি। ভবিষ্যতে হলে তা জানানো হবে।’ অবশ্য এ সোলার পার্কটি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়ায় স্থাপনের প্রস্তাব হলেও ফিজিবিলিটি স্ট্যাডিতে তা নাকচ হয়ে যায়। একনেকে এই প্রকল্পসহ ৭ হাজার ৯৮৫ কোটি ৮ লাখ টাকার ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। আজ প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরেবাংলানগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে এতে সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।