

স্বাস্থ্যের ডিজিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৯ এএম, ১২ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:১৭ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২৩

স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল বাসার মো. খুরশীদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দেয়া রায় অমান্য করায় তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না (প্রসিডিং ড্র) তা আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলুরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বাকি তিনজন হলেন- ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) বাবলু কুমার শাহা, ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান এবং ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের (এএফএম) এমডি আনোয়ারুল হক। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তিনি আদালতে রিট পিটিশনারের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ।
মনজিল মোরসেদ বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক একটি জীবন রক্ষাকারী মেডিসিন। সে কারণেই আদালত এ রকম রায় দিয়েছেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে উৎপাদন চালিয়ে বাজারে বিক্রির মাধ্যমে অনেক মানুষের ক্ষতি করছে ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস। কিন্তু ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা অন্যান্যরা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কোম্পানির বিক্রয় ডকুমেন্ট থেকেও প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তারা অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করেছেন। তারা আদালতের ওপর অশ্রদ্ধা দেখিয়েছেন এবং আদালত অবমাননা করেছেন যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জিএমপি অনুসরণ না করে বরিশালের ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসসহ ২০টি মেডিসিন কোম্পানি অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করায় তা বন্ধে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক মামলার শুনানি শেষে তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বরিশালের ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস অবৈধভাবে অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন ও বিক্রি করছে এমন সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এরপর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দয়ের করা হয়। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন।