

ফরিদপুরে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এক ব্যাক্তির মৃত্যুদন্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৯ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৫৬ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২৩

ফরিদপুরে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এক ব্যাক্তিকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ আদেশ দেন। আদালত এ হত্যা মামলার একমাত্র আসামি আদালতে উপস্থিত বোয়ালমারী উপজেলার কদমী গ্রামের জিন্দার আলীকে (৩৬) মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে রাখার আদেশ দেন। পাশাপাশি ওই আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করেন।
মামলার নথি সুত্রে জানা যায়, কদমী আবু জাফর সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদ্রসার আলীম প্রথম বর্ষের ছাত্রি কদমী গ্রামে রুপালী বেগম (২০) কে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে তাকে উত্যক্ত করতেন একই গ্রামের জিন্দার আলী। এক সময় বিয়ের প্রস্তাবও দেন জিন্দার। তবে রুপালি বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা এ প্রস্তাব বাতিল করে দিলে ক্ষুব্ধ জিন্দার আলী হুমকি দিয়েছিল, ‘রূপালি তাকে বিয়ে না করলে সে রূপালিকে নিয়েএমন ঘটনা ঘটাবে যে ঘটনা হাজার হাজার মানুষ দেখবে।’
গত ২০১০ সালের ২০ মে রূপালী বেগম পাশের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার নড়াইল ইসলামি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে জিন্দার আলী তাকে কদমী গ্রামের একটি পাট ক্ষেতে নিয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে তাকে প্রথম ধর্ষণ করে পরে কাচি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। ২১ মে সকাল ৮টার দিকে কদমী ভায়া টোংরাইল বনমালীপুর সড়কের দক্ষিণ পাশের খাদে রূপালীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত রূপালীর বাবা মোসলেম মোল্লা অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামি করে ওই বছর ২২ মে ফরিদপুর বোয়ালমারী থানায় হত্যা মামলাদায়ের করেন। গোয়েন্দা পুলিশের ওসি গোলাম আবু বক্কর গত ২০১৩ সালের ৩১ আগস্ট জিন্দার আলীকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। জিন্দার আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট হামিদুল ইসলামের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেন। ওই জবানবন্দীতে হত্যার আগে ধর্ষণের কথাও স্বীকার করেন।