খালেদা জিয়ার আবেদন পেয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৬ এএম, ৪ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৪৩ এএম, ৭ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী একথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার আবেদনটি মঙ্গলবার আমার হাতে দিয়েছেন। এতে শর্ত শিথিল করারও আবেদন করা হয়েছে। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত জানাব। এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত জানাবে সরকার।
তিনি আরও বলেন, আবেদনে সাজা মওকুফ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাত্র মঙ্গলবার চিঠি পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার জননী। আমরা আশা করছি, তিনি বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নেবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ঠিকমতো করতে না পারায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও বাড়ানোর আবেদন করা হয়। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর এ আবেদন করা হয়। গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দফতর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। গত বছরের ২৫ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের জন্য পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হয়। এর পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। মুক্তির পর থেকেই গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় আছেন বেগম খালেদা জিয়া। সেখানেই চলছে তার চিকিৎসা। তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে এমনটি জানিয়ে তার পরিবার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবারও আবেদন করেছে।
প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। এর মধ্যে ১১ মাস তিনি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মামলা হয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সম্পর্কিত দুটি মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া কারাভোগ করছিলেন।