দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতা তৈমূরকে অব্যাহতি দিয়েছে হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৩ পিএম, ১২ মার্চ,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:০৩ এএম, ২৮ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বিআরটিসির সাবেক চেয়ারম্যান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপি আহবায়ক এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে সিএনজিচালিত ফোর স্টোক বেবিট্যাক্সি বিতরণে দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। ফলে দুর্নীতির এ মামলা থেকে তৈমুর আলম খন্দকার অব্যাহতি পেলেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। তৈমুর আলমের পক্ষে ছিলেন, ব্যারিষ্টার আবদুল্লাহ আল মামুন, ব্যারিষ্টার খাজা তানভীর আহম্মেদ, ব্যারিষ্টার মার-ই-য়াম খন্দকার, ব্যারিষ্টার মনোয়ার হোসেন এবং এ্যাপিলেট ডিভিশনের তালিকাভুক্ত আইনজীবী এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকার নিজেও শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৯ আগস্ট রাজধানীর পল্টন থানায় তৈমুর আলম খন্দকারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খোকন। অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা বিএনপি জোট সরকারের আমলে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৭ হাজার বেবিট্যাক্সি চালকের মধ্যে দুইশ ফোর স্টোক অটোরিকশা বিতরণ করে। বিতরণে অনিয়মের মাধ্যমে রাষ্ট্রের এক কোটি টাকা ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকেও আসামি করা হয়েছিল। পরে এ মামলায় তদন্ত শেষে তৈমুর আলম খন্দকারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১১ মে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। নাজমুল হুদাসহ ৫জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি আমলে নেন। পরে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তৈমূর আলম খন্দকার। তার আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলাটি বাতিল করে ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল দুদক।