বিদায়ী বছরে নির্যাতনের শিকার ৩,৭০৩ জন নারী ও শিশু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৬ এএম, ৪ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৫৫ এএম, ৪ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২৪
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ২০২১ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর মোট ৩,৭০৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংগঠনটি বিস্তারিত জানায়।
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, ২০২১ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর মোট ৩,৭০৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১,২৩৫ জন, তন্মধ্যে ৬২৯ জন কন্যাশিশুসহ ১,০১৮ জন ধর্ষণের শিকার, ৬২ জন কন্যাশিশুসহ ১৭৯ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, ২২ জন কন্যাশিশুসহ ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ৩১ জন, ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে ৭ জন। এছাড়া ৯৩ জন কন্যাশিশুসহ ১৫৫ জন ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
১৪ জন কন্যাশিশুসহ ৩৩ জন শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে। ৬২ জন কন্যাশিশুসহ ৯৫ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ৫ জন কন্যাশিশুসহ এসিড-দগ্ধের শিকার হয়েছে ২২ জন, তন্মধ্যে এসিড-দগ্ধের কারণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৩ জন কন্যাশিশুসহ ২৩ জন। তাদের মধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫৩ জন কন্যাশিশুসহ নারী ও কন্যাশিশু অপহরণ হয়েছে ১৮০ জন।
এছাড়া ৮ জন কন্যাশিশুসহ ১১ জনকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। ৬ জন কন্যাশিশুসহ ৪২ জন নারী ও কন্যাশিশু পাচার করা হয়েছে। ২ জনকে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। ৩২ কন্যাশিশুসহ ৪৬ জন উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে, তন্মধ্যে ১ জন কন্যাশিশুসহ উত্ত্যক্তকরণের ফলে আত্মহত্যা করেছে ২ জন। ১ জন কন্যাশিশুসহ যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৩৮ জন, তন্মধ্যে ৪৫ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। ৫৮ জন কন্যাশিশুসহ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২০৮ জন। বিভিন্ন কারণে ১১৪ জন কন্যাশিশুসহ ৪৪৪ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
এছাড়া ১৯ জন কন্যাশিশুসহ ৮৭ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৩১ জন কন্যাশিশুসহ ৪২৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৪৩ জন কন্যাশিশুসহ ১২১ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনা ঘটেছে ৪টি। ৫ জন কন্যাশিশুসহ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ১১ জন। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের ঘটনা ঘটেছে ৪টি। ফতোয়ার ঘটনা ঘটেছে ২টি। বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ৩২৭টি, তন্মধ্যে প্রতিরোধ করা হয়েছে ৪৩টি। ২৩ জন কন্যাশিশুসহ ৬৩ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। এছাড়া ২৬ জন নারী ও কন্যাশিশু অন্যান্য নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
উল্লেখ্য, সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ৭.১২.২০২১ তারিখ করোনাকালীন শুধু কিশোরগঞ্জ জেলাতেই মাদ্রাসার ২৬০ জন ছাত্রীর বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে। গত ৩.১০.২০২১ তারিখ করোনাকালীন দীর্ঘ দেড় বছরে শুধু টাঙ্গাইল জেলাতেই ১,২৪২টি বাল্যবিয়ে হয়েছে।