২০২১ সালে র্যাবের হাতে গ্রেফতার ২০ হাজার আসামি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৯ এএম, ১১ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১১:১১ পিএম, ৬ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
২০২১ সালে এলিট ফোর্স র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ২০ হাজারেরও বেশি আসামি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রেফতার হয়েছে মাদকবিরোধী অভিযানে। সংস্থাটির দাবি, তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সাইবার ওয়ার্ল্ডের অপরাধীরা। মানবপাচারের রুট আবিষ্কার এবং মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনা ছিল উল্লেখযোগ্য সফলতা। সামনের দিনগুলোতেও সাইবার অপরাধ নির্মূল করাটাই হবে আসল চ্যালেঞ্জ আশঙ্কা র্যাবের। ভারতে এক বাংলাদেশি তরুণীর ওপর যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয় দেশজুড়ে। ৩১ মে র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হয় আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের মূল হোতা আশরাফুল ইসলাম ওরফে বস রাফিসহ চারজন। এই চক্রটি ভারতে নারী পাচার করে তাদের যৌন ব্যবসায়ে বাধ্য করত। র্যাবের দাবি ছিল, চক্রটি আট বছরে পাঁচ শতাধিক নারী বিভিন্ন দেশে পাচার করেছে। চক্রটিকে গ্রেফতারের পর আবিষ্কৃত হয় আন্তর্জাতিক নারী পাচারের রুট। ২০২১ সালে ১৮৯ জন নারী পাচারকারী গ্রেফতারের পাশাপাশি ১৭৬ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করে র্যাব। এ ছাড়াও ৪৩৪ জন মানবপাচারকারীও গ্রেফতার হয় বাহিনীটির হাতে। চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে এই স্লোগান সামনে রেখে অভিযান অব্যাহত রাখে র্যাব। উদ্ধার হয় আইস, এলএসডির মতো ভয়ংকর মাদকের। ৮ হাজার ৪৯১টি অভিযানে গ্রেফতার করা হয় ১৫ হাজার ৬৮৫ মাদক কারবারিকে। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মাদক চোরাকারবারিরা যে এখন নতুন নতুন মাদক আনছে, সেটাও আমরা শনাক্ত করেছি। পার্শ্ববর্তী দেশে নারী পাচার হওয়ার ১২ থেকে ১৩টি রুট শনাক্ত করেছি।
২০১৬ সালে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মাধ্যমে পুনরায় জঙ্গিরা তাদের অস্তিত্ব জানান দেয়। ২০২১ এ র্যাব ২৮৫ জঙ্গির পাশাপাশি ৭৪২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে। র্যাবের দাবি, তাদের জন্য সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সাইবার সন্ত্রাস। আগামী দিনগুলোতেও এটি তাদের জন্য চ্যালেঞ্জের জায়গা। খন্দকার আল মঈন বলেন, সন্ত্রাসীরাও তাদের বিভিন্ন কৌশল পরিবর্তন করছে। ওই সব কৌশল রফত করে আমাদের অভিযান পরিচালনা করতে হচ্ছে। সাইবার ওয়ার্ল্ডকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের মাদক চোরাকারবারিরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে যাচ্ছে। তো এই সাইবার ওয়ার্ল্ড মনিটরিং করে তাদের গ্রেফতার করা অনেক কষ্টকর হয়। উঠতি বয়সী কিশোরদের মাঝে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্যাং কালচার আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ২৯০ জন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এলিট ফোর্স র্যাব।