avertisements
Text

অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান

স্বৈরাচারী আইনের জালে গণতন্ত্র যোদ্ধা ও অরাজনৈতিক ছায়াসঙ্গী

প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ৬ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০১:১৪ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৩

Text

বাংলাদেশের জনগণ যখন দেশের গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারে আন্দোলন করছে রাজপথে, বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিচ্ছে নাগরিকের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার চিৎকারে। সংবাদপত্র ও সুশীল সমাজের মুখ বন্ধ করা হয়েছে ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ নামক কালা আইনের মাধ্যমে। দেশের অর্থনীতির মুলশক্তি ‘বৈদাশিক মুদ্রার রিজার্ভ’ নেমে গেছে তলানিতে।

দৈনিক সমকালে প্রকাশিত সংবাদে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মান অনুযায়ী বৃহস্পতিবার নাগাদ বাংলাদেশের রিজার্ভ দাড়িয়েছে ২৪ বিলিয়ন ডলারে। দেশের সুর্য সন্তান প্রবাসীদের রক্ত ঘামে অর্জিত ডলার দিয়ে যখন দেশের রিজার্ভের স্বাস্থ্য ভালো রাখছে, তার বিপরীতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে হাজার কোটি টাকা বেনামী ঋণ নিয়ে বিদেশে ডলার পাচার করে সম্পদের পাহাড় গড়ছেন আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীরা ও তাদের তোষামদ বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান - গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইনটেগ্রিটি বলছে, বাণিজ্যের আড়ালে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে গড়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০২০, ৫ বছরে পাচার কারীরা ৩ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে।যার মধ্যে ২০১৫ সালে দেশ থেকে পাচার হয়ে যায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা।

পাচারকৃত টাকার পরিমাণ বিবেচনায় দক্ষিণ এশিয়ায় পাচারকারী দেশ হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। অথচ, সবচেয়ে অবাক লাগে যখন বাংলাদেশে ব্যাংকের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে বলা হয়, কতটাকা পাচার হয়েছে সেটার তথ্য তাদের কাছে নেই ! 

২০২২ সালের ৩১ অক্টোবরের দৈনিক যুগান্তরের খবরে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে উঠে এসেছে বিভিন্ন পণ্যে ২০ থেকে ২০০ শতাংশ ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচার হয়েছে। তবে কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, সে তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস।

নাকি সবটাই আয়না বাজি! এবার মুল প্রসঙ্গে আসি, সপ্তাহের শেষদিন মানুষ যখন ছুটিতে, তখন গণমাধ্যমে একটি খবর আলোড়ণ তোলে সাধারণ মানুষের মনে। দেশের প্রায় সবগুলো গণমাধ্যমের উপরেরদিকে প্রচার পাওয়া খবরে বলা হয়েছে, দুদকের এক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরও তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা: জুবাইদা রহমানের নাগাল না পাওয়ায় তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সংবাদ পর্যালোচনায় এই মত দিচ্ছিনা। একজন সাধারণ  মানুষ হিসেবে মনে প্রশ্ন জাগেযে, দেশের ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা যখন লাগামহীন দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, তখন দেশের গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারের অগ্রসৈনিক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমানিত না হলেও রাজনৈতিক রোষানলে তাকে দেশান্তর হতে হয়েছে। দেশী বিদেশী সংস্থার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে।

খবরের সবচেয়ে অবাক করা অংশটি হলো রাজনৈতিক রোষানলের শিকার তারেক রহমানের সাথে তার স্ত্রী বিশ্বের ৫৬ টি দেশের কার্ডিওলজিস্টদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করা চিকিৎসক ডা: জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে রায় প্রদান। দেশে বিদেশে কার্ডিয়াক চিকিৎসায় খ্যাতি অর্জন করা ডা: জুবাইদা রহমানের রাজনীতিতে অংশ গ্রহন নেই বললেই চলে। শুধুমাত্রা গণতন্ত্রের যোদ্ধা তারেক রহমানের ছায়াসংগী হিসেবে অনুপ্রেরনাময়ী স্ত্রী হিসেবে পাশে থাকাই তার অপরাধ? এমন প্রশ্ন আসতেই পারে সাধারণ মানুষের মনে।

দেশের সকল আইন শুধু বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের উপর প্রয়োগের জন্য? বিরোধীদল মানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। যে দলটি গত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে রাজপথে আন্দোলন করছে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য।

দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম করাই বিএনপি চেয়ারপার্সন জনগণের ভোটে নির্বাচিত তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, তথা জিয়া পরিবারের অপরাধ! দেশের মানুষের জন্য অন্তর্ভূক্তি মূলক অর্থনীতির স্বপ্ন দেখানোই তারেক রহমানের অপরাধ! একজন শিক্ষক হিসেবে অনেক শীক্ষার্থীর মনে কথাই জানতে পেরেছি। নব্বই দশকে জন্মনেয়া বাংলাদেশের নাগরিকদের কেউই এখন পর্যন্ত কোন জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।

দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ থেকে ভোট নামক শব্দকে উৎপাটন করা হয়েছে সমূলে। এমন দেশের জন্য সংগ্রামী বীরমুক্তি যোদ্ধাগণ যুদ্ধ করেননি। স্বাধীনতার চেতনা নামে যে স্বৈরাচারি বিষবাষ্প ছড়ানো হয়েছে সমাজে, তা থেকে জাতিকে মুক্তিদিতে পারেন একজনই, তিনি তারেক রহমান।
এমন ন্যাক্কার জনক রায়ের প্রতিবাদ আমাদের জানানেই। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, সংবিধানের দোহাই দিয়ে যে স্বৈরাচারী গণতন্ত্র কায়েম করা হচ্ছে, জনগণ এর জবাব দেবে রাজপথে, নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে। অপেক্ষা শুধু সময়ের।

লেখক : অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, মহাসচিব, ইউনিভার্সি টিটিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
 

avertisements
বইমেলায় চাঁদাবাজি : ঢাবি ছাত্রলীগের দুই নেতা বহিষ্কার
বইমেলায় চাঁদাবাজি : ঢাবি ছাত্রলীগের দুই নেতা বহিষ্কার
২৫ ফেব্রুয়ারি দেশের সব জেলায় বিএনপির পদযাত্রা
২৫ ফেব্রুয়ারি দেশের সব জেলায় বিএনপির পদযাত্রা
নতুন পাঠ্যক্রমের ওপর জঙ্গি হামলা হয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী
নতুন পাঠ্যক্রমের ওপর জঙ্গি হামলা হয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী
দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে : জি এম কাদের
দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে : জি এম কাদের
মাঠ পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকালে অবশ্যই অফিসে থাকতে হবে
মাঠ পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকালে অবশ্যই অফিসে থাকতে হবে
লুটপাটের জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা : মির্জা আব্বাস
লুটপাটের জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা : মির্জা আব্বাস
তাড়াশে গুলিতে আ'লীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নিহত
তাড়াশে গুলিতে আ'লীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নিহত
সংবিধান থেকে এক চুলও নড়বে না আওয়ামী লীগ : কাদের
সংবিধান থেকে এক চুলও নড়বে না আওয়ামী লীগ : কাদের
ওয়ার্ন-ম্যাকগ্রাকে ছাড়িয়ে অ্যান্ডারসন-ব্রড
ওয়ার্ন-ম্যাকগ্রাকে ছাড়িয়ে অ্যান্ডারসন-ব্রড
আ'লীগ এখন মলম পার্টিতে পরিনত হয়েছে : আলাল
আ'লীগ এখন মলম পার্টিতে পরিনত হয়েছে : আলাল
বিএনপি রাজপথে থেকেই জনগনের অধিকার আদায় করবে : গয়েশ্বর
বিএনপি রাজপথে থেকেই জনগনের অধিকার আদায় করবে : গয়েশ্বর
এই সরকারের পতন ছাড়া জনগণ ঘরে ফিরবেনা : টুকু
এই সরকারের পতন ছাড়া জনগণ ঘরে ফিরবেনা : টুকু
গাবতলীতে মরহুমা বিবি হায়াতুন নেছা তালুকদারের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
গাবতলীতে মরহুমা বিবি হায়াতুন নেছা তালুকদারের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
বিদেশী প্রভুদের কাছে বিএনপি নয়, সরকারই ধর্ণা দিচ্ছে : বুলু
বিদেশী প্রভুদের কাছে বিএনপি নয়, সরকারই ধর্ণা দিচ্ছে : বুলু
এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে : আমীর খসরু
এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে : আমীর খসরু
কর্ণেল আজিমের রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
কর্ণেল আজিমের রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
অরাজনৈতিক হয়েও রাজনৈতিক হয়রানির শিকার ডা. জুবাইদা রহমান
অরাজনৈতিক হয়েও রাজনৈতিক হয়রানির শিকার ডা. জুবাইদা রহমান
এ প্রতিহিংসার শেষ কোথায়!
এ প্রতিহিংসার শেষ কোথায়!
জার্মান বিএনপির সভাপতি আকুল মিয়ার মাতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ
জার্মান বিএনপির সভাপতি আকুল মিয়ার মাতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ
বিনিয়োগকারীদের ২৪ হাজার কোটি টাকা লাপাত্তা
বিনিয়োগকারীদের ২৪ হাজার কোটি টাকা লাপাত্তা
গুন্ডা-মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি-শামিম (ভিডিওসহ)
গুন্ডা-মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি-শামিম (ভিডিওসহ)
গুন্ডা-মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি-শামিম (ভিডিওসহ)
গুন্ডা-মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি-শামিম (ভিডিওসহ)
কণ্ঠে আহাজারি শুনি নাই, চোখে আগুন দেখেছি : মির্জা ফখরুল
কণ্ঠে আহাজারি শুনি নাই, চোখে আগুন দেখেছি : মির্জা ফখরুল
ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নতুন নিয়োগ বিধিমালা নিয়ে অসন্তোষ
ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নতুন নিয়োগ বিধিমালা নিয়ে অসন্তোষ
শিক্ষার টেকসই উন্নয়ন, প্রসার ও কর্মমুখীকরণে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া ও বিএনপির ভূমিকা
শিক্ষার টেকসই উন্নয়ন, প্রসার ও কর্মমুখীকরণে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া ও বিএনপির ভূমিকা
ভোলা থেকে রাতের আঁধারে পালিয়ে এসেছিল এসআই কনক
ভোলা থেকে রাতের আঁধারে পালিয়ে এসেছিল এসআই কনক
রাজনীতিকে আওয়ামীকরণ
রাজনীতিকে আওয়ামীকরণ
ধামরাইয়ে বাসা বাড়িতে দেহ ব্যাবসার অভিযোগ
ধামরাইয়ে বাসা বাড়িতে দেহ ব্যাবসার অভিযোগ
ধামরাইয়ে যুবলীগ নেতা সহ ৬ ব্যাক্তির নামে আদালতে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের
ধামরাইয়ে যুবলীগ নেতা সহ ৬ ব্যাক্তির নামে আদালতে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের
ধামরাইয়ে যুবলীগ নেতা সহ ৬ ব্যাক্তির নামে আদালতে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের
ধামরাইয়ে যুবলীগ নেতা সহ ৬ ব্যাক্তির নামে আদালতে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের
avertisements
avertisements