শায়রুল কবির খান
তিনি আমাদের ধ্রুব তাঁরা
প্রকাশ: ০২:২৩ পিএম, ৮ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৬:০৬ পিএম, ২ অক্টোবর, বুধবার,২০২৪
স্বাধীন-স্বার্বভৌম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান-এর পরিবার সংকট ও সম্ভবনা যেন একই সুত্রে গাঁথা, তার যৌক্তিক কারণ কি হতে পারে?
স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল পরিচয়, প্রথম ব্রিগেড কমান্ডার জেড-ফোর্স, রণাঙ্গনে প্রথম ৫শো বর্গ মাইল ভূখন্ড স্বাধীন করাসহ বীরউত্তম উপাধিতে ভূষিত হওয়া এত কিছু অর্জন যার তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকদের বিশ্ব দরবারে জাতিস্বত্বা "বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ" হিসেবে পরিচয় প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যা তার রাজনৈতিক দর্শন। তলাবিহীন ঝুড়ি ও রাষ্ট্রের বদনাম গুলি মাত্র সাড়ে চার বছরের মধ্যে আধুনিক স্ব-নির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন ১৯ দফা কর্মসূচী'র মাধ্যমে। আর "বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ" ও "১৯ দফা'র" লক্ষ্য উদ্দেশ্য-কে হাজার বছর টেনে নিয়ে যাবার জন্য প্লাটফর্ম হিসেবে রেখে গিয়েছেন "বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি"।
তার রাজনৈতিক ও আর্দশিক উত্তরসূরী আমরা কোটি কোটি জনতা। রক্তের এবং রাজনৈতিক ও আর্দশিক উত্তরসূরী "যিনি আমাদের ধ্রুব তাঁরা" তিনি বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমান-এর যোগ্যতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে, বিনা ভোটে অবৈধ ভাবে দখলদার সরকার বাংলাদেশের স্বার্থ-কে বিকিয়ে দিয়ে নানান ধরনের পথ অবলম্বন করে চলেছেন শুধু মাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকা ও দীর্ঘস্হায়ী করার উদ্দেশ্য।
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশদরদী তারেক রহমান তাঁর দল বিএনপি আগামী'র বাংলাদেশ-কে "কল্যাণ রাষ্ট্র" বি-নির্মাণে নেতৃত্বের উপযোগী সুশৃঙ্খল ব্যবস্থায় সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্য সুদূর লন্ডন থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
দেশনায়ক তারেক রহমান-এর এই প্রচেষ্টা-কে ইতিবাচক দৃষ্টি'তে দেখছেন যেসমস্ত দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, রাজনীতিক, নাগরিক সমাজ প্রতিনিধি, সকল স্তরের নেতাকর্মী সমর্থক ও সাধারণ নাগরিক। তাদের সাথে সরকার প্রতারণার আশ্রয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে আজ্ঞাবহ গোষ্ঠী-কে দিয়ে বিশেষ করে জাতীয়তাবাদী শক্তি-কে মানসিক ও কাঠামোগত ভাবে দূর্বল করতে এবং সমাজে বিভ্রান্ত তৈরি করতে এই পরিস্থিতিতে দুদকের এক মামলায় বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশদরদী তারেক রহমান ও উনার সহধর্মিণী প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাক্তার জুবাইদা রহমান-এর স্থাবর অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদালতের এই আদেশ।
দলের সকল স্তরের নেতাকর্মী সমর্থক বিশ্বাস করেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশদরদী তারেক রহমান তাঁর একনিষ্ঠ লক্ষ্য স্থির রেখেই ধৈর্যের সাথে সবকিছু মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন।
তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সবার চোখের সামনে ঝলঝল করছে। কতটা সুদূর প্রসারী চিন্তা থেকে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে তৃণমূল পর্যায়ে কার্যকর করতে শুরু করেন ২০০৫ সাল ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন।
বাংলাদেশে গতানুগতিক ধারার আন্দোলনের বাহিরে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে, শান্তিপূর্ণ গণ-সমাবেশের মাধ্যমে গণ আন্দোলন তৈরি করা যায় তার দৃষ্টান্ত ইতিমধ্যে তিনি স্হাপন করেন বিভাগীয় গণ-সমাবেশ সফল করার মধ্যে দিয়ে।
তখনকার গণমাধ্যমে বিএনপি'র তৃণমূল সম্মেলন নিয়ে শিরোনামসহ সকল সংবাদ গুলো জলন্ত স্বাক্ষী।
আর ২০১৮ সাল ৮ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অন্যায় ভাবে দুদকে'র করা মামলায় আদালতের আদেশে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মাতা বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া-কে কারাগারে নিয়ে যাবার পর থেকে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিটি সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপের বিষয়ে কেউ নেতিবাচক প্রশ্ন কিংবা মন্তব্য করেননি।
সেজন্যই আওয়ামী দখলদার অবৈধ সরকারের নেতৃবৃন্দ দেশদরদী তারেক রহমান-এর যোগ্যতাকে হিংসা করেন ও সবসময় একধরনের আতংকে ভোগে, এই বুঝি তারেক রহমান এলেন...।
দীর্ঘ সময়ের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি থেকে ছোট্ট এই লেখায় একমাত্র অনুভূতি বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশদরদী তারেক রহমান ইনশাআল্লাহ সফল হবেন। হতেই তো হবে? "তিনি আমাদের ধ্রুব তাঁরা" বাংলাদেশের ভাগ্যে, বিএনপি'র ভাগ্যে আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান-এর উত্তরসূরীদের ভাগ্য যে একই সুত্রে গাঁথা।
লেখক, শায়রুল কবির খান, সদস্য, বিএনপি চেয়ারপার্সন প্রেস উইং ও বিএনপি মিডিয়া সেল।