avertisements
Text

শায়রুল কবির খান

“পঁচিশ-মার্চ ১৯৭১ সাত-নভেম্বর ১৯৭৫ ত্রিশ-মে ১৯৮১”

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ৭ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৫:২০ পিএম, ৩ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

১৯৭০ সাল সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র প্রণয়ন হবে কিন্তু হলো না। যা হয়েছিল তা কল্পনার অতীত ভোটের অধিকারকে দমন করে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী তার স্বাধীন দেশের পূর্ব পাকিস্তানে নাগরিকদের ওপর রাতের অন্ধকারে নির্মম গণহত্যা শুরু করে। 

১৯৭১ সাল ২৫ মার্চ সেদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। হেলিকপ্টারে তারা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে।

ঢাকার ইপিআর সদরদপ্তর পিলখানায় থাকা ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার কয়েকটি স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা সদর দপ্তর। রাজারবাগ পুলিশ লাইন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নীলক্ষেত ও দৈনিক ইত্তেফাকসহ প্রায় ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আক্রমণ করে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ট্যাংক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়।

সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাংক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময় যা পরিনত হয় গণহত্যায়। 

লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজির জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের 'উইটনেস টু সারেন্ডার' গ্রন্থে তার বিশদভাবে বিবরণ পাওয়া যায়। 

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সব ব্যবস্থা চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ছেড়ে করাচি চলে যান। 

মধ্য রাতে সেনা অভিযানের শুরুর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান-এর বাসায় তখনকার গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ তাজউদ্দীন আহমদ ডক্টর কামাল হোসেনসহ কয়েকজন গিয়েছেন স্বাধীনতার ঘোষণা সংক্রান্ত কোনো লিখিত বক্তব্য কিংবা অডিও বক্তব্য তৈরি করে নিতে কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি তিনি তা দেননি।

১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ মধ্য রাত পর্যন্ত সারাদেশে স্বাধীনতার আন্দোলন চুড়ান্ত দিকে ধাবিত হতে থাকে। বিশেষ করে ১ মার্চ জাতীয় সংসদ অধিবেশন স্থগিত ঘোষণায় ঢাকা স্টেডিয়ামে ক্রীকেট খেলা বন্ধ হয়ে যায়। শহরের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। 

৩ মার্চ রঙিন “স্বাধীনতা পতাকা” উত্তলন করেন পল্টন ময়দান থেকে ছাত্র নেতা আ স ম রব। ৪ মার্চ স্বাধীনতা ইশতেহার পাঠ করেন ছাত্র নেতা শাহজাহান সিরাজ।

৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল সমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণে দেবেন। 

চারদিকে প্রচার হতে থাকলো তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন। লাখ জনতা তার ভাষণ শুনতে চুটে আসেন সমাবেশ স্থলে। জনতা নেতার ভাষণ থেকে ৪ টি শর্তের কথা স্পষ্ট ভাবে শুনেছেন। স্বাধীনতার ঘোষণা শুনতে পাননি উৎসুক জনতা। এমন কি ঐ ভাষণ পরদিন পাকিস্তান বেতারে সম্পূর্ণ প্রচার করা হয়।

১৪ মার্চ জুলফিকার আলী ভুট্টাে ঢাকায় আসেন। ১৫ মার্চ পাকিস্তান প্রেসিডেন্টের ইয়াহিয়া খান আসেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান, আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান, পিপলস পার্টি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টােসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বৈঠক শুরু। ২৪ মার্চ পর্য়ন্ত ধারাবাহিক বৈঠক চলে।

পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর এই বৈঠকের আড়ালে তারা তাদের লক্ষ্য স্থির রেখে অপারেশন সার্চ লাইট চুড়ান্ত করে।

২৫ মার্চ মধ্য রাতে পাকবাহিনীর গণহত্যা। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। সকল আওয়ামী লীগ নেতারা পলায়ন পর। সাধারণ মানুষ দিকবিদিকশুন্য দিশেহারা। শহরে আগুনের লেলিহান শিখায় জ্বলছে। 
এরকম পরিস্থিতিতে নিজ কর্তব্য বোধ থেকে শির উঁচু করে মেরুদণ্ড সোজা রেখে জাতি আকাঙ্খা পূর্ণে জীবন ও পরিবারবে উৎস্বর্গ করে প্রথমে “উই রিভল্ট” এরপর চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান “স্বাধীনতা” ঘোষণা করেন। “আমি মেজর জিয়া বলছি বাংলাদেশ স্বাধীনতা” ঘোষণা করছি।

মেজর জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সামরিক কর্মকর্তা জানজুয়ারসহ তার নিয়ন্ত্রণে সকালকে গ্রেপ্তার করেন। মুক্তিযুদ্ধে প্রথম ব্রিগেড কমান্ডার “জেড ফোর্স” এবং ১ নম্বর ও ১১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন।

রংপুর অঞ্চলে প্রথম ৫০০ বর্গ মাইল স্বাধীন ভূখন্ড ঘোষণা ও বেসরকারি প্রশাসনিক কাঠামো শুরু করেন করেন জিয়াউর রহমান। 

দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

১৯৭১ সাল ১৯ ডিসেম্বর পাকিস্তান কারাগার থেকে শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি পেয়ে বৃটেন ও ভারত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে আসেন ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সাল।

১১ জানুয়ারি বাদ দিয়ে ১২ জানুয়ারি প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ-কে বাদ দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হোন।

এরপরে ইতিহাস অনেকই জানেন। দ্রুতই নাগরিকদের স্বাধীনতার আকাঙ্খা ক্রমাগত দুঃস্বপ্নে পরিনত হতে থাকলো। 

দূর্নীতি, লুটপাট, হত্যা হামলা মামলা গ্রেপ্তার, ভোট কারচুপি, চারদিকে সীমাহীন অরাজকতা চলতে।

১৯৭৪ দুর্ভিক্ষে ভয়াবহ অবস্থা। একদলীয় শাসন বাকশাল শুরু। মানুষ দিশেহারা ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ পটপরিবর্তন।

৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি পূর্বে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ পটপরিবর্তন কিছুটা আলোকপাত দরকার।  বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে দেশটির রাষ্ট্রনৈতিক অবস্থানে বিশাল পরিবর্তন আসে। বছরটি ছিল ১৯৭৫ সাল। এই বছরের আগস্টের ১৫ তারিখ এক সেনা অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন।

আগস্টের ১৫ তারিখে পটপরিবর্তনে বাংলাদেশের রেডিও থেকে মেজর ডালিম ঘোষণা করেছিলেন, খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে এবং রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হয়েছেন।

৭৫’-এর পটপরিবর্তনের ফলে দেশের রাজনীতির মোড় পরিবর্তন ঘটেছে।

এই উপ-ভারতবর্ষে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে নদীতে বান ডাকে। যখন নদীর বান ডাকা স্তিমিত হয়ে আসে, তখন নদীর এক পাড় ভাঙে অন্য পাড়ে পলি জমা হয়ে নতুন ভূমি সৃষ্টি হয়।
 
এ কারণেই হয়তো ভাবুক কবি গান রচনা করেছিলেন, নদীর একূল ভাঙে, ওকূল গড়ে/এই তো নদীর খেলা। নদীমাতৃক বাংলাদেশের রাজনীতিও নদীর মতোই।

৭৫’-এর ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে পটপরিবর্তন ঘটে, তা কি নিছক নদী ভাঙনের সঙ্গে তুলনীয়?  এ পরিবর্তনটি ঐতিহাসিক ভাবে উপমায় অনেকটাই ব্রহ্মপুত্র নদীর খাত পরিবর্তনের সঙ্গে তুলনীয়।

১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদ বাংলাদেশে যমুনা নামে প্রবাহিত হতে শুরু করে। ব্রহ্মপুত্র নদের পুরোনো খাতটি ময়মনসিংহের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতো। ব্রহ্মপুত্রের খাত পরিবর্তনের ফলে ময়মনসিংহের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদের অংশটি মৃত্যুবরণ করে।

এতে পানির প্রবাহ শূন্যের কোঠায় চলে যায় এবং নদীটির নামকরণ করা হয় পুরোনো ব্রহ্মপুত্র। নিঃসন্দেহে ব্রহ্মপুত্র নদের খাত পরিবর্তন শক্তিশালী ভূমিকম্প না হলে হতো না।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পের মতোই বিশাল পরিবর্তনের সূচনা করেছিল।

১৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের ফলে ‘এক নেতা এক দেশ’ স্লোগানের মৃত্যু ঘটে।  

প্রায় তিন মাসের মাথায় ১৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ সামরিক ক্যু’র ঘূর্ণাবর্তে পড়ে যায়। ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ তার অনুগতদের নিয়ে ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ আরেকটি অভ্যুত্থান ঘটায়। সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান-কে বন্দি করা হয়।

ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ নিজে নিজেই মেজর জেনারেলে উন্নীত হন এবং সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাকে নৌবাহিনী প্রধান এমএইচ খান ও বিমানবাহিনী প্রধান এমজি তাওয়াব মেজর জেনারেলের র‌্যাংকব্যাজ পরিয়ে দেন।

প্রায় একই সময়ে বঙ্গভবনে বসে খালেদ মোশাররফ প্রয়াত সাংবাদিক এনায়েত উল্লাহ খানের কাছ থেকে টেলিফোনে জানতে পারেন, তার মা ও ভাই আওয়ামী লীগের মিছিলে যোগ দিয়েছেন। এতে তিনি অত্যন্ত বিচলিত হয়ে বলতে থাকেন, আমার মা ও ভাই আমার সর্বনাশ করে দিয়েছে। সেই সময় জনগণের দৃষ্টিতে আওয়ামী লীগ ছিল দেশদ্রোহীর দল। 

সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি এএসএম সায়েম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।
৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে বেতার ও টেলিভিশনে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি সায়েম। তিনি দেশবাসীকে জানান, সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এতেও খালেদ মোশাররফের শেষ রক্ষা হয়নি।

৬ নভেম্বর মধ্যরাতে ক্যান্টনমেন্টে জওয়ানরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। তারা দলে দলে অস্ত্রসজ্জিত হয়ে ঢাকার রাজপথে নেমে আসে।

রাজপথে ট্যাংক ও কামানসজ্জিত হয়ে বিদ্রোহী সিপাহিরা বিপ্লবের স্লোগান দিতে থাকে।
তারা স্লোগান দিচ্ছিল, "সিপাহি বিপ্লব জিন্দাবাদ-জিয়াউর রহমান জিন্দাবাদ-বাংলাদেশ জিন্দাবাদ"। রাজপথে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে সিপাহি বিপ্লবের সমর্থনে সংহতি প্রকাশ করে। এ অভ্যুত্থানকে চিহ্নিত করা হলো! সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি" রূপে।

জিয়াউর রহমান-কে খালেদ মোশাররফ-এর বন্দিশালা থেকে সৈনিকরা মুক্ত করে আনল।
সূচিত হলো বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়। 
জিয়াউর রহমান বন্দি হয়েছেন জেনে সাধারণ মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিল।

অনেকে দারুণ উৎকণ্ঠার মধ্যে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন। আসলে উৎকণ্ঠায় ভোগার ফলে সাধারণ মানুষ খাবার গিলতে পারছিল না। সর্বোপরি ৩ থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে কোনো রকমের সরকার আছে কিনা, তা নিয়ে দারুণ উৎকণ্ঠায় পড়ে গেল সাধারণ মানুষ। 
এ থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশের জনগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কতটা উদ্বিগ্ন। দেশকে তারা কত ভালোবাসেন।

সেনা প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান মুক্ত হয়ে জাতির উদ্দেশে একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিলেন। তিনি জনগণের প্রতি শান্ত থাকার আহবান জানালেন। সেনাবাহিনী আপনাদের পাশে আছে। আপনারা নিজ নিজ কাজে যোগদান করুন আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

জিয়াউর রহমান সাহস ও ধৈর্যের সঙ্গে সিপাহিদের ধ্বংসাত্মক পথ থেকে নিরস্ত্র করতে সক্ষম হলেন। সেনাবাহিনীতে নিয়ম-শৃঙ্খলা ফিরে এলো। জিয়াউর রহমান যদি সেনাবাহিনীতে নিয়ম-শৃঙ্খলা উদ্ধারে সফল না হতেন, তাহলে বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার শঙ্কা থেকে যেত।

৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। এই দিন বাংলাদেশের জনগণ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র শপথ গ্রহণ করে। জিয়াউর রহমান-এর মতো একজন ব্যক্তির নেতৃত্বের ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ জাতি হিসাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। 
বিশ্ব দরবারে জাতি রাষ্ট্র হিসেবে "বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ" দর্শন প্রতিষ্ঠিত হয়।
"১৯-দফা" কর্মসূচী'র মাধ্যমে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে উৎপাদনের জোয়ার সৃষ্টি হয়।
জিয়াউর রহমান দেশের নারী-পুরুষ, কিশোর-যুবক, শিশু ও প্রৌঢ়সহ সব মানুষকে নিয়ে জাতি গঠনের মহান ব্রত গ্রহণ করেছিলেন। তলাবিহীন ঝুড়ি রাষ্ট্রের বদনাম গুছিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠা করে আধুনিক স্বনির্ভর বাংলাদেশ নির্মাণ করেন। তার নিখুঁত দেশপ্রেম ও জাতি গঠনে সঠিক কর্মপন্থা গ্রহণের জন্য জিয়াউর রহমান যুগ-যুগান্তরে মানুষের হৃদয়ের গভীরে ঠাঁই নিয়ে আছেন ও থাকবেন।

জিয়াউর রহমান-এর দেশপ্রেম ও জাতীয় ঐক্য গড়ার প্রয়াস আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র গোষ্ঠী মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না, ফলে তাদের চক্রান্তের মধ্যে দিয়ে জিয়াউর রহমান ১৯৮১-এর ৩০ মে একদল বিপদগামী সামরিক অফিসারের হাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে তিনি শহীদ হোন। 

থমকে দাঁড়ায় স্বাধীন-স্বার্বভৌম বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে জন্ম নেয়। এই গৌরবোজ্জ্বল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার রাজনৈতিক দল ও শক্তি  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি যার প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম। 

তার রাজনৈতিক ও আর্দশিক উত্তরসূরী আমরা কোটি কোটি জনতা। রক্তের ও রাজনৈতিক এবং আর্দশিক উত্তরসূরী বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২০২৪ আগস্ট পট-পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে তার নেতৃত্বে "উন্নত ও কল্যাণ বাংলাদেশ" গড়ে উঠবে। 


লেখক: সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী, সদস্য বিএনপি চেয়ারপার্সন প্রেস উইং ও বিএনপি মিডিয়া।

দিনকাল/এমএইচআর

বিষয়: মতামত
avertisements
খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করলেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার
খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করলেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার
দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি
দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি
পাঁচ বছরে ৫ কোটি গাছ রোপণ করতে চান তারেক রহমান
পাঁচ বছরে ৫ কোটি গাছ রোপণ করতে চান তারেক রহমান
জাতীয় ঐক্য গঠনে বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় ঐক্য গঠনে বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় অর্ধেকে নামালো বাংলাদেশ
আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় অর্ধেকে নামালো বাংলাদেশ
বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় ভারত : হাইকমিশনার
বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় ভারত : হাইকমিশনার
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ
ভারতের গোলামি করার জন্য স্বাধীনতা অর্জন করিনি : সোহেল তাজ
ভারতের গোলামি করার জন্য স্বাধীনতা অর্জন করিনি : সোহেল তাজ
সহকারী হাইকমিশন আক্রমণ জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট বরখেলাপ : মির্জা ফখরুল
সহকারী হাইকমিশন আক্রমণ জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট বরখেলাপ : মির্জা ফখরুল
ভারতের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ : বাদশা
ভারতের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ : বাদশা
নওগাঁয় মহাসড়কে আবারো ঝরল তিন প্রাণ
নওগাঁয় মহাসড়কে আবারো ঝরল তিন প্রাণ
আগরতলায় বাংলাদেশের কনস্যুলার সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা
আগরতলায় বাংলাদেশের কনস্যুলার সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা
থাইল্যান্ডকে হারিয়ে হকির বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
থাইল্যান্ডকে হারিয়ে হকির বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
ভারতীয় হাইকমিশনারকে জরুরি তলব
ভারতীয় হাইকমিশনারকে জরুরি তলব
কর্ণেল আজিমের রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
কর্ণেল আজিমের রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
অরাজনৈতিক হয়েও রাজনৈতিক হয়রানির শিকার ডা. জুবাইদা রহমান
অরাজনৈতিক হয়েও রাজনৈতিক হয়রানির শিকার ডা. জুবাইদা রহমান
এ প্রতিহিংসার শেষ কোথায়!
এ প্রতিহিংসার শেষ কোথায়!
জার্মান বিএনপির সভাপতি আকুল মিয়ার মাতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ
জার্মান বিএনপির সভাপতি আকুল মিয়ার মাতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ
বিনিয়োগকারীদের ২৪ হাজার কোটি টাকা লাপাত্তা
বিনিয়োগকারীদের ২৪ হাজার কোটি টাকা লাপাত্তা
গুন্ডা-মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি-শামিম (ভিডিওসহ)
গুন্ডা-মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি-শামিম (ভিডিওসহ)
গুন্ডা-মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি-শামিম (ভিডিওসহ)
গুন্ডা-মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি-শামিম (ভিডিওসহ)
কণ্ঠে আহাজারি শুনি নাই, চোখে আগুন দেখেছি : মির্জা ফখরুল
কণ্ঠে আহাজারি শুনি নাই, চোখে আগুন দেখেছি : মির্জা ফখরুল
ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নতুন নিয়োগ বিধিমালা নিয়ে অসন্তোষ
ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নতুন নিয়োগ বিধিমালা নিয়ে অসন্তোষ
শিক্ষার টেকসই উন্নয়ন, প্রসার ও কর্মমুখীকরণে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া ও বিএনপির ভূমিকা
শিক্ষার টেকসই উন্নয়ন, প্রসার ও কর্মমুখীকরণে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া ও বিএনপির ভূমিকা
রাজনীতিকে আওয়ামীকরণ
রাজনীতিকে আওয়ামীকরণ
ভোলা থেকে রাতের আঁধারে পালিয়ে এসেছিল এসআই কনক
ভোলা থেকে রাতের আঁধারে পালিয়ে এসেছিল এসআই কনক
ধামরাইয়ে যুবলীগ নেতা সহ ৬ ব্যাক্তির নামে আদালতে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের
ধামরাইয়ে যুবলীগ নেতা সহ ৬ ব্যাক্তির নামে আদালতে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের
ধামরাইয়ে যুবলীগ নেতা সহ ৬ ব্যাক্তির নামে আদালতে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের
ধামরাইয়ে যুবলীগ নেতা সহ ৬ ব্যাক্তির নামে আদালতে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের
ধামরাইয়ে বাসা বাড়িতে দেহ ব্যাবসার অভিযোগ
ধামরাইয়ে বাসা বাড়িতে দেহ ব্যাবসার অভিযোগ
avertisements
avertisements