ঢাকা মেডিকেলের কাছে হোটেল মালিকদের পাওনা ৪০ কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৩ এএম, ২২ জুন,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫৭ এএম, ৬ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
করোনা মহামারির শুরু থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের কোয়ারেন্টিনের জন্য নির্ধারিত ৩০টি হোটেলের বিল বাকি রয়েছে ৪০ কোটি টাকা। আর এ বকেয়া টাকার জন্য ঢামেক হাসপাতালের প্রশাসনিক গেটের সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএইচএ)। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, পদ্ধতিগত কারণে বিল দিতে বিলম্বিত হচ্ছে।
আজ সোমবার বিআইএইচএ মানববন্ধন শেষে হাসপাতালের পরিচালকের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।
সংগঠনটির কো-চেয়ারম্যান খালেদ-উর-রহমান মানববন্ধনে বলেন, করোনার শুরু থেকে চুক্তি মোতাবেক কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা-খাওয়া বাবদ ৩০টি হোটেল নির্ধারিত হয়। কিন্তু এসব হাসপাতালে বকেয়া বিল রয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। আর এ টাকার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ঘুরেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই তারা আজ মানববন্ধন করেন এবং স্মারকলিপি দেন বলে তিনি জানান। মানববন্ধনে বলা হয়, গত বছরের জুলাই থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলের কাছে প্রায় তিন মাসে ৪০ কোটি টাকা বিল বাকি রয়েছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এ বকেয়া বিল পরিশোধের জন্যও দাবি জানান তারা।
খালেদ-উর-রহমান বলেন, গত প্রায় এক বছর ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সকল তথ্য প্রমাণাদি সরবরাহ করা হলেও বিলের বিষয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। সংগঠনটির সহ-সভাপতি সাইদুল আলম বলেন, ৩০ জুনের মধ্যে তাদের প্রাপ্ত বকেয়া বিল পরিশোধ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে।
এ বিষয়ে পদ্ধতি গত কারণে বিল দিতে বিলম্ব হচ্ছে জানিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, আশা করছি, এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। হাসপাতালের উপ পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ জানান, গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের বিল বকেয়া রয়েছে। তবে তাদের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় সবই তারা করেছেন। এখন বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের। একইসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি সেখানে অনেক রদবদল হয়েছে। নতুন কেউ দায়িত্বে এলে তারও সবকিছু বুঝে নিতে দেরি হয়ে যায়। আর কেবল তাই নয়, একজন সচিব পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে পারেন। তার বেশি বরাদ্দ দিতে গেলে মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন লাগে, যার কারণে দেরি হচ্ছে।