ধামরাইয়ে মসজিদের পুকুর জবরদখল ও মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৩ এএম, ১৭ জুলাই,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৫১ এএম, ১৩ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৫
ঢাকার ধামরাইয়ের বাস্তা আদর্শ গ্রামের মসজিদের পুকুর জবরদখল ও ২ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ তিন গ্রামবাসীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বাস্তা ৩ নং আদর্শ গ্রামের (আশ্রয়ণ কেন্দ্র) বসবাসরত প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
আজ শুক্রবার বাদ জু’মা এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূিচ পালিত হয়। একর্মসূচি পালনকালে মসজিদের পুকুর জবরদখল ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলায়ার হোসেনসহ তিন গ্রাসবাসীর ওপর হামলাকারিদের অবিলম্বে ও গ্রেফতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এ কর্মসূচি পালনকারিরা বলেন, সরকার ভূমিহীনদের জন্য উত্তর বাস্তা মৌজায় খাস জমিতে আদর্শ গ্রাম প্রকল্পের আওতায় বাড়ী দিয়েছেন। সেইসঙ্গে মসজিদ, কমিউিনিটি ক্লিনিক ও থেলার মাঠ প্রতিষ্ঠা ও তিনটি পুকুর খনন করে দিয়েছেন গ্রামবাসীর জন্য। ২৭জুন আমছিমুর নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে দাউদ আলী, রাইজুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রশীদ ও মাঠু মিয়া এবং চাঁন মিয়ার মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি আদর্শ গ্রামের মসজিদের নামে বরাদ্দকৃত তিনটি পুকুর জবরখল করে নেয়।
এসময় মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও মোহাম্ম গোলাম মোস্তফা নামে দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা গ্রামবাসীদের নিয়ে জবরদখলকারিদের বাধা দিলে তাকেসহ তিন গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালিয়ে প্রাণনাশের চেষ্টা করে ওই প্রভাবশালীরা। শুক্রবার এব্যাপারে ওই প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন স্বতঃস্ফূর্ত গ্রামবাসী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন বলেন, পাকিস্তানিরা আমাদের স্বাধীনতা হরণ করে মাথার ওপর চেপে বসে শোষণ করেছিল। সেই শোষণের হাত থেকে বাংলার মানুষকে রক্ষা করার জন্য আমরা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছি। তার বিনিময়ে আশ্রয় হল আদর্শ গ্রামে। কিন্তু আদর্শ গ্রামেও শান্তিতে বসবাস করতে পারছি না। ভূমিহীনদের সরকারের দেয়া উপহারও কেড়ে নিতে চাচ্ছে প্রভাবশালীরা।
এবিষয়ে দাউদ আলীর আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যখন গুচ্ছগ্রাম হয় তখন থেকেই আমরা পুকুর তিনটি ভোগদখল করে আসছি। আমি অবৈধভাবে পুকুর দখল কিংবা মুক্তিযোদ্ধাসহ গ্রামবাসীদের ওপর হামলা করিনি। এসব আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, এব্যাপারে ভালভাবে খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না।