সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা
ছাত্রদের জন্য সপ্তাহের ৭ দিনই হাফ ভাড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪২ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৩:২৯ পিএম, ১২ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব মেট্রোপলিটন এলাকার বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে ৭ দিনই হাফ ভাড়া কার্যকর হবে।
ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম।
আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এ সুবিধা পাবেন শিক্ষার্থীরা।
আজ (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সেমিনারে এই ঘোষণা দেন সাইফুল আলম।
তিনি বলেন, ছাত্রদের হাত ধরেই ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর স্বাধীনতা এবং ২০২৪ সালে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটেছে। দেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছে। ছাত্রদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল, সপ্তাহে ৭ দিনই ছাত্রদের বাস ভাড়া ৫০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে সপ্তাহে ৭ দিন ‘হাফ ভাড়া’ কার্যকর হবে।
আমাদের অঙ্গীকার-নিরাপদ সড়ক হউক সবার : সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মালিক ও শ্রমিকদের সচেতনতামূলক শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
সেমিনারে সাইফুল আলম বলেন, এ বিষয় নিয়ে গত ২১ আগস্ট পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করি। বৈঠকে বাসে ছাত্রদের হাফ ভাড়া এবং পরিবহন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতারা জানান, বিআরটিএ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে সপ্তাহে ৫ দিন (শুক্রবার-শনিবার ব্যতীত) বাসে ছাত্রদের হাফ ভাড়া কার্যকর করে। যা এখনও বলবৎ আছে। তাই সভায় নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের (নিসআ) নেতারা বাসে ছাত্রদের সপ্তাহে ৫ দিনের স্থলে ৭ দিন হাফ ভাড়া কার্যকর করার জন্য ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের নিকট অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, নিসআর আবেদন বিবেচনা করে ওই সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে বাসে ছাত্রদের হাফ ভাড়া সপ্তাহে ৫ দিনের স্থলে ৭ দিন আগামীকাল ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে ( সকাল-৬টা হইতে রাত-১২টা পর্যন্ত)। হাফ পাসের জন্য অবশ্যই শিক্ষার্থীকে ইউনিফর্ম পরিহিত অথবা শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র মেট্রো এলাকায় কার্যকর থাকবে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এম এ বাতেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।