আমি দুষ্টের দমন, শিষ্টের লালনে বিশ্বাস করি - তাপস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৭ এএম, ৩ মার্চ,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:০৫ এএম, ৯ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৫
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশেনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সতর্ক করে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমি দুষ্টের দমন, শিষ্টের লালনে বিশ্বাস করি। যে ভালো করবে, যে সংস্থাকে আপন মনে করে কাজ করবে, তাকে অবশ্যই পুরস্কৃত করা হবে। তাকে প্রণোদনা দেয়া হবে। কিন্তু যে অন্যায় করবে, মানুষকে হয়রানি করবে, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে আয়োজিত ‘রাজস্ব সম্মেলন’ এ তিনি এসব কথা বলেন।
রাজস্ব আহরণ নিয়ে মেয়র বলেন, আমরা পূর্বে অনেক কিছুই পারিনি। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে ছিলাম, কারণ আমরা রাজস্ব আহরণ করতে পারিনি। আমাদেরকে সরকারের মুখাপেক্ষী হতে হয়েছে। আমাদেরকে প্রকল্প নির্ভর চলতে হয়েছে।
আমরা প্রকল্প জমা দেই, তারপর সরকার আমাদেরকে অর্থ দেয়। তারপর অর্থ ছাড় দেয়া হলে আমরা কাজ করি। এই প্রকল্প নির্ভরতা আমাদের কমাতে হবে। নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে হবে, স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। এজন্য আমাদেরকে অবশ্যই রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করতে হবে।
তাপস বলেন, আপনারা উপলব্ধি করেছেন যে, আমাদের ট্রেড লাইসেন্সের সংখ্যা মাত্র ২ লাখ ১৮ হাজার। এটা পর্যাপ্ত নয়, অপ্রতুল। এর বাইরে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ আমাদের শহরে ব্যবসা করছে। কিন্তু আমাদের করের আওতায় আসেনি। সুতরাং তাদেরকে করের আওতায় আনতে হবে। তেমনি পৌর করের (হোল্ডিং ট্যাক্স) সংখ্যা মাত্র ১ লাখ ৮৩ হাজার। এই সংখ্যাটা অনেক পূর্বের মনে হচ্ছে। এ সংখ্যাটা অনেক বৃদ্ধি পাবে। হোল্ডিং ট্যাক্সের জন্য সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা এবং ট্রেড লাইসেন্সের জন্য ২০০ কোটি টাকার যে লক্ষ্যমাত্রা আমরা দিয়েছি, সেটি আদায়যোগ্য। সবাই মিলে ঐকবদ্ধ হয়ে সুষ্ঠুভাবে যদি কাজ করি, তবে সেটি শতভাগ আদায় করা সম্ভব।
রাজস্ব আহরণের নতুন লক্ষ্যমাত্রা অসম্ভব নয় উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা যেটা বঞ্চিত হচ্ছি, সেটাই আদায় করতে চাচ্ছি। আমাদের যেটা প্রাপ্য সেটাই আদায় করতে চাচ্ছি। সেখানে আমাদের বিদ্যমান লোকবল দিয়েই সেটা আদায় করা সম্ভব। তারপরও আপনারা যে দাবি-দাওয়া দিয়েছিলেন, সেগুলো আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি। আপনাদের পদোন্নতি পর্ব শেষ। সামনের বছর আবারও পদোন্নতি পর্ব করব। এছাড়াও আমাদের জনবলের যে সঙ্কট রয়েছে, অবকাঠামোগত যে দুর্বলতা রয়েছে সেটাও আমরা পূরণ করব। কিন্তু আমার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে দিতে হবে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকের সঞ্চালনায় রাজস্ব সম্মেলনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী ও সচিব আকরামুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।