শহীদ জিয়া আধুনিক বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপন করেন - টুকু

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, শহীদ জিয়া আধুনিক বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপন করেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলামের একটি সেমিনারে দেয়া বক্তব্য তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম বলেছেন ‘এটা কল্পনা করা কঠিন যে, জিয়া যদি ১৯৮১ সালের পরিবর্তে ১৯৭৫ সালে নিহত হতেন তাহলে বাংলাদেশের ভাগ্যে কি ঘটত? বাংলাদেশ খুব সহজেই আফগানিস্তান বা লাইবেরিয়ার মতো ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারতো। জিয়া সেই পরিণতি থেকে বাংলাদেশকে বাঁচিয়েছিলেন।’ 

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী জেলা ও নওগাঁ জেলা বিএনপি আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজ মঙ্গলবার ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স-এর অধ্যাপক সৈয়দ মাহমুদ আলী বলেছেন, ‘স্বাধীনতা বাংলাদেশকে যে ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছে, অস্থিরতা সত্ত্বেও জিয়ার শাসন আমলে এ রাষ্ট্র তার চেয়ে অনেক বেশি মজবুত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দিয়ে গেছে।’ 

টুকু বলেন, হেনরি কিসিঞ্জাররা যে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলেন সেই ঝুড়ি সমৃদ্ধ অর্থনীতি দিয়ে শক্ত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ থেকে ’৭৫ বাংলাদেশ ছিল একটি বন্ধ রাষ্ট্র। ভারত আর রাশিয়া ছাড়া কোনো মিত্র ছিল না। শহীদ জিয়া সেই বন্ধন মুক্ত করেছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, চীন, মধ্যপ্রাচ্যের স্বীকৃতি আদায় করেন। শহীদ জিয়ার গড়া পথেই চলছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি। 

টুকু আরো বলেন, একটি দেশের স্বাধীনতা একক কোনো ব্যক্তি আনতে পারেন না। অনেকের অবদান থাকে। যার যতটুকু প্রাপ্য তাকে সেই সম্মান বিএনপি দেয়। সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের অসাম্প্রদায়িক সহাবস্থানের নাম শহীদ জিয়ার গড়া বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। তাঁর সেই দর্শন আমাদের উপলদ্ধি করা ও নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রতিটি নেতাকর্মীর কাছে তিনি আহবান জানান। 

আলোচনা সভায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদের সভাপতিত্বে ও  জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুনের সঞ্চালনায় এবং নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিশেষ বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ওবায়দুর রহমান চন্দন।  এছাড়া বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা ও নওগাঁ   জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।