শহীদ জিয়াকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখা যাবে না - হাসান সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৫ পিএম, ১৪ জুন,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:২০ পিএম, ৩ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, আওয়ামীলীগ সরকার হাজার চেষ্টা করেও জনগণের মন থেকে তা মূছে ফেলতে পারবে না। শহীদ জিয়াকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখা যাবে না। জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষকই নন, বরং তিনি আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। বাংলাদেশের ইতিহাসে তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
আজ সোমবার সকালে শহীদ প্রেসিডেণ্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল গাজীপুর জেলা শাখা কতৃক শহরের রাজবাড়ী রোডস্থ বিএনপি কার্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধা দল গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুছ সামাদ মোল্লার সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এলবার্ট পি কস্টা, বিএনপি নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন কায়সার, গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি ড. সহিদউজ্জামান, আহাম্মেদ আলী রুশদী, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সৈয়দ আক্তারুজ্জামান, সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবুল হোসাইন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামান, ফজলুল হক, আফাজ উদ্দিন কাইয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন, গাজীপুর বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকিরুল ইসলাম, সুলতান উদ্দিন আহাম্মেদ, প্রভাষক বশির উদ্দিন, প্রভাষক আসাদুজ্জামান আকাশ, আজিজুল হক রাজু মাস্টার, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাডভোকেট তৌহিদুরল ইসলাম রনি, মনিরুজ্জামান লাভলু, জিল্লুর রহমান মাসুম, অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম, মো. তাজুল ইসলঅম, মোতাহার হোসেন, মেহেদী মোশারফ, মোশারফ হোসেন ভূইয়া, মাহমুদুল হাসান আকাশ, শেখ সুমন প্রমুখ।
আমাদের জাতিসত্তা ভুলিয়ে দিতে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নতুন প্রজন্মের নৈতিকতার পতন ঘটানো হচ্ছে অভিযোগ করে হাসান সরকার বলেন, একটি রাস্তা না হলে কিছু আসে-যায় না। কিন্তু নৈতিকতার পতন হলে সব ধ্বংস হয়ে যায়। দলের সুবিধাবাদীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের সাথে আঁতাত করে রাজনীতি হয় না, সুবিধা আদায় করা যায়।
যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এলবার্ট পি কস্টা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। যাতে জনগণ আবার ভোটাধিকার ফিরে পায়। তাই দলমত নির্বিশেষে যারাই সরকার পতনের পক্ষে কাজ করবে আমরা তাদের সাথেই থাকবো।
বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি সরকার মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় সৃষ্টি না করলে আজ আপনি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী হতে পারতেন না। মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের কার কী ভূমিকা ছিল আমরা ভাল করেই জানি। বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার ও হাবীবুল্লাহরা সেদিন গাজীপুরে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনারা তাদের কৃতৃত্ব স্বীকার করেন না। জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোতেও তাদেরকে আমন্ত্রণ করেন না, এমনকি তাদের নামও মুখ দিয়ে উচ্চারণ করেন না।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেকে ভারতে গিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে হোটেলে আরাম-আয়েশে ছিলেন। সেদিন সাহস করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার মতো কেউ ছিল না, জিয়াউর রহমান সেদিন সাহস করে স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে এই স্বাধীন সার্বভৌম ভূখন্ডেল সৃষ্টি হতো না। আজ আপনারা জিয়াউর রহমানের খেতাব মূছে ফেলতে চান। আপনি এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থেকে যদি জিয়াউর রহমানের খেতাব মূছে দেন তাহলে আমরা আপনার বাড়ি ঘেরাও দিয়ে স্লোগান দিব ‘তুই রাজাকার; তুই রাজাকার’।