কিশোরগঞ্জের ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে উত্ত্যক্তের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৭ পিএম, ২১ জুন,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:২৭ পিএম, ৩১ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুুুুমন (৩০) বিরুদ্ধে হুমকি, হয়রানি ও উত্ত্যক্তের অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণী (২২)। এ বিষয়ে তদন্ত করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ দুই নেতা সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন। বারবার কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দল নিয়ে যথেষ্ট বিরক্ত হয়ে তারা এই কমিটি বিলুপ্ত করারও কথা ভাবছেন।
এদিকে, অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ারের পাশাপাশি তাঁর ভাগ্নে নাজমুল হীরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। ভাগ্নে হীরার নামে থানায় দালালী ও একরাম পুরের অটোরিকশা স্টেন নিয়ন্ত্রণের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগটি জমা দেন আইনপড়ুয়া ঐ তরুণী। অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, ঐ তরুণী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী।
জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা করেছিলেন ওই তরুণী। পরে ফেসবুক লাইভে এসে লুৎফর রহমানকে নির্দোষ দাবি করেন ঐ তরুণী। ওই তরুণীর অভিযোগ, ফেসবুক লাইভে এসে ধর্ষণের বিষয়টি সঠিক নয় বলে বক্তব্য দেওয়ায় তাঁকে হয়রানি করা হচ্ছে।
লিখিত অভিযোগে ঐ তরুণী বলেছেন, ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, তাঁর ভাগনে নাজমুল হীরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জন দুই মাস ধরে তাঁকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। তাঁরা প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে ফোন কল এবং ফেসবুকে আপত্তিকর খুদে বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে তাঁকে উত্ত্যক্ত করছেন। তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা ও নোংরা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। দুই মাস ধরে তিনি আনোয়ার হোসেনের ভয়ে বাসা থেকে বের হতে পারছেন না। যেকোনো সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁর বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেন।
ওই তরুণী বলেন, আমার এলাকার বড় ভাই আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন। তাঁর কথায় না বুঝেই লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম। পরে ভুল বুঝতে পেরে ফেসবুক লাইভে এসে সত্যিটা বলি। এরপর থেকেই আমাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই তরুণী এর আগেও কমিটির এক সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছিলেন। এরপর ফেসবুক লাইভে এসে দাবি করেন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক তাঁকে দিয়ে মামলা করিয়েছেন। ঐ তরুণীর সঙ্গে কোনো সময় কথাই হয়নি দাবি করে আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছেন। সংগঠনের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য একেক সময় একেকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন ঐ তরুণী।
লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমরা একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।