জামায়াত সেক্রেটারিসহ পাঁচ নেতা আবারও দুই দিনের রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫২ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৪৫ এএম, ২৭ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ পাঁচজনের আবারও দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসেন ও ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত।
আজ রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) চারদিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আবারও তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী ওয়াজেদ আলী। ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমানের আদালতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর ৯ আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার তাদের প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে ভাটারা থানায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ নয়জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় অনেককে। সেদিনই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান সেদিন বলেছেন, গ্রেফতার জামায়াত নেতারা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। বৈঠকে তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। গোপন সংবাদে বৈঠকের খবর জানতে পেরে তাদের আটক করি।
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, তাদের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনার বৈঠক থেকে আলামত হিসেবে কিছু বই আমরা জব্দ করি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি, কেন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। আমরা ধারণা করছি, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে মিলিত হয়েছিলেন। রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড করার জন্য এটা তাদের গোপন বৈঠক ছিল।