বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পার্টির চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:০৯ পিএম, ১ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২৪
আগামীকাল শুক্রবার (২২ অক্টোবর) ঐতিয্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষীকি। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে মাসব্যাপী কর্মসুচী গ্রহন করেছে লেবার পার্টি। এবারের প্রতিপাদ্য "রুখো আগ্রাসন-হটাও দুঃশাসন"। কর্মসুচীর মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কেককাটা, আলোচনা সভা, মতবিনিময় সভা, প্রতিনিধি সভা।
আজ বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দেশবাসী ও দলীয় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন মোঃ ফারুক রহমান।
১৯৭৪ সালে শ্রমজীবি মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে লালবাহিনী, রক্ষীবাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের লুটপাট, অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে জাতীয়নেতা মরহুম মাওলানা আবদুল মতীনের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ লেবার পার্টি। প্রতিষ্ঠার প্রথম বছরেই ১৯৭৫ সালে ২৫ জানুয়ারী শেখ মুজিব মাত্র ১৩ মিনিটের সংসদে রাষ্ট্রীয় ফরমান জারি করে লেবার পার্টিসহ সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেন।
১৯৭৭ সালে সালে শহীদ জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গনতন্ত্র চর্চার সুযোগ দিলে বাংলাদেশ লেবার পার্টি ১৯৭৭ সালের ২২ অক্টোবর মাওলানা আবদুল মতীন ও মাওলানা গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে পুর্নজীবন ফিরে পায়। পরে শহীদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ৭ মে ১৯৭৮ সালে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠিত হলে- মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ন্যাপ, শাহ আজিজুর রহমানের মুসলীম লীগ, বিচারপতি সাত্তারের জাগদল, মাওলানা মতীনের লেবার পার্টি, কাজী জাফরের ইউপিপি ও তফসিলি জাতি ফেডারেশন জোটের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়।
মাওলানা মতীনের মৃত্যুর পর বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতৃত্বে আসেন সাবেক ছাত্রনেতা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। তিনি লেবার পার্টিকে সাংগঠনিকভাবে গনমুখী ও শক্তিশালী করতে ব্যাপক কর্মসুচী গ্রহনের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা, মহানগর ও উপজেলায় কার্যক্রম ছড়িয়ে দেন। তার নেতৃত্বে ২০০৮ সালে অসাংবিধানিক জরুরী সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে ব্যাপক কর্মসুচী পালিত হয়। ২০০৭ সাল থেকে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী চেতনায় সমমনাদল হিসাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা ও অংশ গ্রহন করে।
২০১২ সালে ১৮ এপ্রিল বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোট (বর্তমানে ২০ দলীয় জোট) গঠিত হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টি অন্যতম শরিকদল হিসাবে জোটের রাজনীতিতে ভুমিকা রাখছে। বর্তমান সরকারের জুলুম নির্যাতন নিপীড়ন ও লুটপাটের বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল মিটিং, হরতাল অবোরোধসহ সকল কর্মসুচীতে লেবার পার্টি সক্রিয় ছিল। লেবার পার্টির চেয়ারম্যানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী চলমান আন্দোলনে গ্রেফতার হয়ে জেল-জুলুম, মিথ্যা মামলা নিয়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ড অব্যহত রেখেছে।
লেবার পার্টি নবীন-প্রবীনদের সমন্বয়ে ভ্রাতৃত্বপুর্ন নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে ধর্ম-কর্ম-সাম্যবাদের চেতনায় উমর-ই সাম্যবাদের আলোকে শোষনমুক্ত ইনসাফ ভিত্তিক জনকল্যান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সৎ, যোগ্য ও আদর্শ নাগরিক সৃষ্টিতে কাজ করছে। শুধু ক্ষমতার হাতবদল নয়, খাই খাই লুটপাটের রাজনীতির বাইরে সুস্থ্য ধারার আদর্শিক পরিবর্তন চায় বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
কর্মসুচী : ২২ অক্টোবর (শুক্রবার) বেলা ৩টায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি মিলনায়তনে (ডিআরইউ) সেগুনবাগিচা, ঢাকায় বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষীকিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, প্রধান বক্তা ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম খান সহ জোটের শীর্ষ নেতৃবর্গ অংশ নেবেন।