প্রয়োজনে খুলনা বিএনপি স্বোচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচি গ্রহণ করবে - মঞ্জু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩০ পিএম, ২৩ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:১৬ পিএম, ৪ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে পুলিশ যদি নিবৃত না হয়, তাহলে প্রয়োজনে খুলনা বিএনপি স্বেচ্ছায় কারবরণ কর্মসূচি গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি আদায়ে খুলনা বিএনপি রাজপথে থাকবে। পাড়ায় পাড়ায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। বুকের রক্ত দিয়ে রুখবো। তিনি অবিলম্বে ২২ নবেম্বর দায়েরকৃত খুলনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা, সাজানো ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার গত মার্চ মাসে যোগদানের পর থেকেই নেতা-কর্মীদের উপর হামলা এবং বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই পুলিশ কমিশনার বিশেষ কোনো ব্যক্তিকে খুশি করার জন্য মাঠে নেমেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান পুলিশ কমিশনার যোগদানের পর মার্চ মাসে প্রথম বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটে এবং পুলিশের হামলায় আহত বিএনপি নেতা বাবুল গাজী ১১দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার পর থেকে বিনা উসকানীতে নির্বিচারে পুলিশ বিএনপির কর্মসূচি হামলা করছে এবং নেতা-কর্মীদের গরু-ছাগলের মতো রাস্তায় বেধড়ক পেটাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপিকে রাজনীতির বাইরে রাখার জন্য ওয়ান ইলেভেনের সময় ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। এ জন্য বিএনপিকে নেতৃত্ব শূন্য করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। সে ষড়যন্ত্র এখনও বিরাজমান। যে কারণে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আজ মুক্তি দেওয়া হচ্ছেনা। সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করে তাকে সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। আইনমন্ত্রী আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতারা যে সব কটুক্তি করছেন তা শিষ্টাচার বহির্ভূত। বরং পুলিশ ও আওয়ামী লীগের আচরণ হচ্ছে প্রতিহিংসার। বিএনপি এই প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে বারবার। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনায় বিএনপির জনগণের কর্মচারী না হয়ে বিশেষ গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে মাঠে নেমেছে। মানবিক কর্মসূচিতেও পুলিশ হঠাৎ করে চড়াও হচ্ছে। এ পরিস্থিতি যদি চলতে থাকে তাহলে বিএনপি অচিরেই সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা মঞ্জু বলেন, দেশে এখন এক ব্যক্তির শাসন চলছে। তার নির্দেশনায় সব চলছে। তিনি গত ২০ ও ২২ নবেম্বর বিএনিপর শান্তিপূর্ণ মানবিক কর্মসূচিতে পুলিশের নারকীয় তা-ব ও হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, বিএনপি নেতা শেখ মুশাররফ হোসেন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, এডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, মনিরুজ্জামান মন্টু, মাহবুব কায়সার, আবু হোসেন বাবু, ইকবাল হোসেন খোকন, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মোল্লা খাইরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান দিপু, শামছুজ্জামান চঞ্চলসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তার আগে গত ২২ নবেম্বর বিএনপির সমাবেশে পুলিশের হামলার ঘটনায় ওই দিন রাতে পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে ২টি মামলা দায়ের করে। সেখানে ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১২০জনকে আসামি করা হয়েছে।