সরকারকেই জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে - এমরান সালেহ প্রিন্স
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ এএম, ২৯ নভেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৪০ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, মন্ত্রীরা বেগম খালেদা জিয়াকে প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইতে নসিহত করছেন। বেগম খালেদা জিয়া কোনো অপরাধ করেন নাই, তাঁর ক্ষমা চাইবার প্রশ্নই আসে না। বরং যারা বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী রায় দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় রাজনীতি থেকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র করছে। এখন সুচিকিৎসার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করে গৃহহীন করেছে। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন,রাজনীতির অধিকার কেড়ে নিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করছে। জনগণের জীবন-জীবিকা বিপন্ন করে দুর্নীতি, লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করছে। তাদেরকেই জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
আজ রবিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম। কটিয়াদি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপ এর সভাপতিত্বে পৌর শহরের চাড়িয়াকোনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন, কিশোরগন্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহ সভাপতি রুহুল আমিন অকিল, যুগ্ম সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া, নাজমুল আলম, আমিনুল ইসলাম আশফাক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলমসহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলা, কটিয়াদি উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় কাউন্সিলরদের গোপন ভোটে আরিফুর রহমান কাঞ্চন নির্বাচিত হন।
সম্মেলনে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, শহীদ জিয়া, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমান জাতির প্রানের স্পন্দন। তাঁদের কালজয়ী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির কারণে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌত্ব সু-সংহত হয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র, আইনের শাসন, স্বনির্ভর অর্থনীতি, উন্নয়ন-উৎপাদনের ইতিবাচক রাজনীতির কারণে দেশ এগিয়েছে। আওয়ামী লীগসহ অন্যদের রাজনীতি অন্তঃসর শূন্য প্রমাণিত হয়েছে। এজন্যই তারা বিএনপির রাজনীতি এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমানকে রাজনীতি ও দুনিয়া থেকে মাইনাস করতে চায়। তারা ভুলে গেছেন শহীদ জিয়ার জন্যই তাদের নেত্রী দেশে ফিরে আসতে পেরেছিলেন, আওয়ামী লীগ স্ব নামে রাজনীতি করতে পারছে। তিনি আগামী ৩০ নভেম্বর বিভাগীয় সমাবেশ সফল করে বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলন বেগবান করার এবং সর্ব শক্তি নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঠে আহ্বান জানান।
বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিদেশে সুচিকিৎসার দাবীতে আন্দোলনে নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে শামিল হবার আহ্বান জানান। সরকার যদি দেশনেত্রীকে মুক্তি না দেয়, তাহলে এই আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হবে।
সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। জন সমস্যা সমাধান দূরে থাক বরং তাদের ভুল নীতি, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতির কারণে প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগ সৃস্টি হচ্ছে। জনদুর্ভোগ সৃস্টিকারী সরকারকে জনগণ দেখতে চায় না।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ময়মনসিংহে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে চলমান আন্দোলন গ্রাম-শহরে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সরকার দেশনেত্রীকে বিদেশে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে এই আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হবে।
তিনি আজ সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ শহরে চড়পাড়া এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণ শেষে পথ সভায় বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এর নেতৃত্বে বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক এড. ওয়ারেস আলী মামুন, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুব দলের সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, সাধারণ সম্পাদক এড.দিদারুল ইসলাম রাজুসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ৩০ নভেম্বর সমাবেশ সফল করতে প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগ করেন।
ময়মনসিংহে পেশাজীবি নেতৃবৃন্দের সভায় বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবী ৩০ নভেম্বর ময়মনসিংহে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ বিএনপি কার্যালয়ে প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, চিকিৎসক, শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় গৃহীত প্রস্তাবে অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার দাবী জানানো হয়। প্রস্তাবে এই দাবীতে বিএনপি আহুত ৩০ নভেম্বরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে সমাবেশে পেশা নির্বিশেষে সর্বসাধারণ সকলের প্রতি অংশ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত পেশাজীবি নেতৃবৃন্দের মধ্যে ডা.একেএম ওয়ালি উল্লাহ, অধ্যাপক ড.শামসুল ইসলাম ভূইয়া, অধ্যাপক ড. আবদুল কুদ্দুস, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসান, অধ্যাপক ড. আমির হোসেন, এড. নুরুল হক, এড.রেজাউল করিম চৌধুরী, এড. মন্জুরুল হক বাচ্চু, কৃষিবিদ আবুল খায়ের দীপু, কৃষিবিদ মনির উদ্দিন আহমদ, ড. মাহমুদুল হাসান চৌধুরী, ডা.মনোয়ার হোসেন সায়েম, ডা. সাইফুল ইসলাম, ডা.এ এইম এম হাসান, এড.আবদুস সোবহান সুলতান, সাংবাদিক আইয়ুব আলী, সাইফুল ইসলাম, প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম, শুক্কুর মাহমুদ, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এড.এম এ হান্নান খান, শামিম আজাদ, মাহবুবুল আলম, রতন আকন্দ বক্তব্য রাখেন।