সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের হামলার মধ্যেই বিএনপির সমাবেশে জনতার ঢল
বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে ৭১'র মতো যুদ্ধ ঘোষনা করা হবে - ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৬ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৪৫ পিএম, ২৮ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলার মধ্যেই সিরাজগঞ্জের সরকারী ইসলামীয় কলেজ মাঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার দাবীতে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সমাবেশে জনতার ঢল নামে।
সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, আমি রাজনীতিতে জীবন দিতে রাজি আছি, কেননা জীবনবাজী রেখে এদেশ স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ করেছি, কাজেই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া না হলে প্রয়োজনে তাকে মুক্ত করতে ৭১'র মতো যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে এবং রনাঙ্গনের সৈনিক হিসেবে রাজপথে যুদ্ধ করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। সেদিন বেশি দুরে নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন করে গণতন্ত্রের নেত্রীকে মুক্ত করে আনবে ইনশাল্লাহ্। আ'লীগ জিয়াউর রহমানের নাম নিতে এখন লজ্জা পায়, তারা গণতন্ত্রের ওয়াদা দিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিল অথচ জিয়াই এদেশে গণতান্ত্রিক সরকার উপহার দিয়েছিলেন। কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছেন, গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠা করেছেন। যার কারণে দেশ এগিয়ে গেছে। তারা উন্নয়নের কথা বলে জনগণকে শোষন করছে, দেশের মানুষের অবস্থা খুব খারাপ, বাজারে গিয়ে দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতিতে মধ্যবিত্তরা দিশেহারা হয়ে পরেছে। তারা গণতন্ত্রকে ভয় পায় বলেই দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে নিয়েছে। এ সরকার ফ্যাসিবাদী সরকার, এ অবৈধ সরকারের দিন শেষ হয়ে গেছে। বাংলার জনগণ এ সরকারকে টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে ইনশাল্লাহ।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু'র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন ইসলাম খান, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির জ্যেষ্ঠ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, কেন্দ্রীয় যুব দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান মিলন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাজিদ হাসান বাবু।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান লেবু, মকবুল হোসেন চৌধুরী, গাজী আজিজুর রহমান দুলাল, আনিছুজ্জামান পাপ্পু, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, অমর কৃষ্ণ দাস, খ.ম রকিবুল হাসান রতন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ভিপি শামীম খান, নুর কায়েম সবুজ, রাশেদুল হাসান রঞ্জন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুইদ সুইট, মির্জা মোস্তফা জামান ও আলমগির আলম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০ টার পর থেকেই বিভিন্ন উপজেলা ও থানা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে স্লোগান দিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে থাকে। বেলা ১২ টার মধ্যেই সমাবেশ স্থলের বিশাল মাঠ কানায় কানায় ভর্তি হয়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বেলা ২ টার সময় শহরের বিএ কলেজ রোড, টুকু ব্রিজ ও নবদ্বীপ পুলের নিকট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপির মিছিলের ওপর হামলা করলে মিছিলকারীরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বিকাল সাড়ে চারটার সময় সমাবেশ শেষ হলেও ঐ এলাকায় সংঘর্ষ চলতেই থাকে। এতে উভয় দলের অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়। পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পুলিশ এক তরফাভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে নেতাকর্মীদের আহত করার অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।