ইসির সংলাপ কোনো কাজে আসবে না - মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৭ এএম, ২৩ মার্চ,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৪২ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২৪
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন নির্বাচন কমিশন যে সংলাপ করছে তাতে বিএনপি যাবে না বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্বাচন কমিশন আমন্ত্রণ জানালে সংলাপে বিএনপি যাবে কিনা জানতে চাইলে আজ মঙ্গলবার সকালে জিয়া পরিষদের এক অনুষ্ঠান তিনি এ কথা জানান। সকাল সাড়ে ১১টায় জিয়া পরিষদের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুস ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেনের নেতৃত্বে নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। এ সময়ে জিয়া পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহ হিল মাসুদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রবিউল ইসলামসহ জিয়া পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা আগেই বলেছি যে, আমরা কোনো মতেই কোথাও কোনভাবেই এই ইসি গঠন প্রক্রিয়া বা কোনো কিছুর (সংলাপ) মধ্যে আমরা নেই, থাকবো না। যত ভালো ইসি হোক না কেনো, ইসির পক্ষে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব না। যদি নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার নিরপেক্ষ না হয়। সেজন্য আমাদের এটাতে (সংলাপ) আগ্রহী নই। কাকে ডাকলো, কাকে ডাকলো না। তারা কি বলছেন, কারা যাচ্ছেন না। আমাদের একটাই মাত্র দাবি, সেটা হচ্ছে যে, নির্বাচনকালীন সময়ে একটা নিরপেক্ষ সরকারের উপস্থিতি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন কমিশনের ১৫ জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধির সাথে সংলাপে বসেন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এই সংলাপে ৪০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও এসেছেন ১৫ জন।
নতুন নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের মনে আছে, নিন্ডয়ই যখন ইসি গঠন প্রক্রিয়া শুরু করলেন সরকার এবং রাষ্ট্রপতি যখন রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে ডাকা শুরু করলেন তখনই আমরা বলেছি যে, এই ইসি পুনর্গঠন ব্যাপারটা এটা জরুরি নয়। জরুরি হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অতীত অভিজ্ঞতায় যে, নির্বাচনকালীন সময়ে কি ধরনের সরকার থাকবে সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখন আপনারা দেখছেন, এই যে অনুপস্থিতি দেখে বুঝতে পারেন যে, আসলে এটাতে (সংলাপ) যারা সুশীল সমাজ তাদেরও কোনো আগ্রহ নেই এবং সেটা সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতার কারণে। গত দুইটা-তিনটা নির্বাচন এবং একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেটা হচ্ছে যে, সরকার যদি নিরপেক্ষ না থাকে নির্বাচনের সময়ে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব গণবিরোধী বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য হ্রাসের দাবিতে যে আন্দোলনটা করছি সেখানে কিন্তু গ্যাস,বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদটা রয়েছে। আমরা যেকোনো রকমেরে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির মূল্য বৃদ্ধির সম্পূর্ণ বিরোধী এবং এই ধরনের মূল্য বৃদ্ধির উদ্যোগকে আমরা মনে করি গণবিরোধী উদ্যোগ। সারাদেশের মানুষের এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠে গেছে, হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে যদি আবারও পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো হয় তাহলে আবার কিন্তু সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে। এটার একটা ইন্টারলিংক আছে। আমরা কোনো মতেই এটা সমর্থন করি না। আমরা নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।