বাস-লঞ্চ ধর্মঘটে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ
শরিফুল হাসান, দিনকাল
প্রকাশ: ১১:১৮ পিএম, ২১ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৪৯ এএম, ১ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
শনিবার (২২ অক্টোবর) বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার বন্ধ করে দিয়েছে খুলনা যাওয়ার সকল পথ। বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে বাস চলাচল ও শুক্রবার সকাল থেকে নৌ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় মালিক সমিতি। এ নিয়ে নানা মহলে উঠছে নানা প্রশ্ন।
এদিকে সকল বাধা অতিক্রম করে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের খুলনার সভাস্থলে পৌঁছানোর প্রস্তুতি প্রায় শেষ। ইতিমধ্যে বিভাগীয় বিভিন্ন জেলা থেকে বেশকিছু নেতাকর্মী খুলনায় পৌঁছে গেছেন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, যানবাহন বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসতে তাদের অনেক অসুবিধা হয়েছে। সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে জনগণের নৈতিক দাবি নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা যেন দেশের কোথাও কোনো প্রতিবাদ সমাবেশ না করতে পারে। আমরা জানতে পেরেছি বৃহস্পতিবার বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যে বাসায় অবস্থান করেছিলেন রাতে পুলিশ সেখান থেকে প্রায় ১৩ জন ও পরবর্তীতে আরও ৪০-৪৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। সরকার আমাদের জেলের ভয় দেখিয়ে জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাধা দিতে মরিয়া।
এদিকে ঢাকা-খুলনা রুটের বাস ঢাকা থেকে যশোর ও গোপালগঞ্জ পর্যন্ত চলছে। সাতক্ষীরামুখী যেসব বাস যশোর হয়ে চলে, সেগুলো চলছে। তবে যেগুলো খুলনা হয়ে চলে, সেগুলো বন্ধ রয়েছে। মূলত খুলনায় কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে ও খুলনা থেকে কোনো রুটে গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে না।
বাস টার্মিনালে যাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। অনেক যাত্রী গন্তব্যে যেতে না পেরে বাড়ি ফিরে যান। যাত্রীদের পাশাপাশি সাধারণ পরিবহন শ্রমিকরাও ক্ষুব্ধ। মালিক পক্ষের এ সিদ্ধান্তকে তারা হটকারী বলছেন। বিশেষ করে নিয়োগ পরীক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েন সবচেয়ে বেশি। সব রুটের বাস বন্ধ থাকায় সকাল থেকে ইজিবাইক ও ভ্যানে করে ভেঙে ভেঙে খুলনায় আসেন তারা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ‘খুলনায় কোথাও থাকার জায়গা নেই। তাই পরীক্ষা দিতে বাড়ি থেকেই আসতে হয়েছে। গাড়ি না চলায় ইজিবাইক, ভ্যানে কষ্ট করে খুলনায় পৌঁছেছি। পরীক্ষা শেষে আবার আমাদের কষ্ট করে বাড়ি ফিরতে হবে।’
তারা আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে বাস ধর্মঘট ডেকে যাত্রীদের হয়রানি করা হচ্ছে। এখন আমরা কীভাবে ঢাকায় যাবো তাই ভাবছি। আমাদের যত কষ্টই হোক যেতেই হবে।’