৭ নভেম্বর জাতীয়তাবাদীর উন্মেষ ঘটেছিল, দেশ প্রকৃত স্বাধীন হয়েছিল : প্রিন্স
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৪ পিএম, ৮ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৪২ পিএম, ৫ অক্টোবর,শনিবার,২০২৪
৭ নভেম্বর জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উন্মেষ ঘটেছিল, দেশ প্রকৃত স্বাধীন হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উন্মেষ ঘটেছিল, দেশ প্রকৃত অর্থে স্বাধীন হয়েছিল। সেই রাজনীতিই জিয়াউর রহমান বুকে ধারণ করে ঝান্ডা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। আর এ কারণেই দেশের মানুষ বিএনপির জন্য এত পাগল।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার ময়মনসিংহ নগরীর বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে উত্তর জেলা বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, ৭ নভেম্বরের সিপাহী জনতার বিপ্লব ছিল জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের বিপ্লব। দেশের বন্ধ হয়ে যাওয়া কল-কারখানার উৎপাদন ৭ নভেম্বরের সৃষ্টি। তখন দেশ পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। ভারত থেকে কাপড় না আসলে মানুষ জামা কাপড় পেত না। কিন্তু জিয়াউর রহমান তাঁর শ্রম, মেধায় দেশকে স্বরির্ভর করে গড়ে তোলেছেন। এক ফসলি জমিকে তিনি তিন ফসলি জমিতে রূপান্তরিত করেছেন। ধান গবেষনা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে বিজ্ঞানীদের নিয়ে গবেষনা করিয়ে ইরি'সহ নানা জাতের ধান আবিস্কার করেছিলেন। এতে দুর্ভিক্ষ পীড়িত বাংলাদেশ, আমদানি নির্ভর বাংলাদেশ জিয়াউর রহমানের হাতেই রপ্তানিমুখী বাংলাদেশ হয়েছিল। সেই সময়ে আফ্রিকাতে জিয়াউর রহমানই প্রথম ধান রপ্তানি করেছিলেন। এগুলো সব ৭ নভেম্বরের সৃষ্টি।
উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালামের সভাপতিত্বে যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি শাহ নূরুল কবীর শাহীন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড.নূরুল হক, জেলা বিএনপির সদস্য কামরুজ্জামান লিটন, হাফেজ আজিজুল হক প্রমূখ।
আলোচনা সভায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আরও বলেন, গতকাল ওবায়দুল কাদের বলেছেন- বিএনপি সরকার পতনে উস্কানি দিচ্ছে। কিন্তু আমরা উস্কানি দিচ্ছি না, বরং ঘোষনা দিয়ে প্রকাশ্যে সরকার পতন আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। উনাদের পায়ের তলায় মাটি নেই বলেই তারা এসব কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন যে- আর কোন মানুষের গায়ে যেন হাত তোলা না হয়, আরে-পুড়িয়েছেন আপনারা, বাসে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছেন আপনারা। আপনাদের একজন উপজেলা চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন- বিহঙ্গ পরিবহনে বোমা মেরে বারো জনকে হত্যা করে প্রধানমন্ত্রীর করোনা ভিক্ষা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রানয় থেকে কোটি কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ নিয়েছে পঙ্কজ দেবনাথ। এতেই প্রমাণ করে কারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রী মায়া কান্না করছেন বিদেশিদের বসিয়ে রেখে। কিন্তু বিদেশিরাও জানে বাংলাদেশে কারা গনতন্ত্র হত্যা করেছে, মানবাধিকার কারা হত্যা করেছে। এসব করে কোন লাভ হবে না।