অতি উৎসাহী হয়ে কেউ আওয়ামী পুলিশ লীগ ও ডিবি লীগ হবেন না : আলাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ২৫ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:১১ এএম, ৯ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, অতি উৎসাহী হয়ে কেউ আওয়ামী পুলিশ লীগ, আওয়ামী ডিবি লীগ হবেন না। দেশের পরিচয়ে নিজেদের পরিচিত করুন। আজকে অনেকে বলেন গণতন্ত্র হত্যা দিবস। আমি বলি এটা রাজতন্ত্র কায়েম দিবস। বাকশালে এক ব্যক্তির ওপর সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। এই আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তার অনুমতিতেই মৃত আওয়ামী লীগকে জীবিত করতে পেরেছিল। সেই হিসেবেও তো তিনি সম্মান পেতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো জিয়াউর রহমানকে সম্মান করেন না, তার চেলা চামুন্ডারাও তাকে অসম্মান করে।
আজ বুধবার (২৫ জানুয়ায়ী) সন্ধ্যায় শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১০ দফা দাবিতে জেলা ও মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি এ কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু'র সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিশেষ অতিথি বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, প্রধান বক্তা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে অনেকের নাম শুনছি। সেখানে একটি নাম উল্লেখযোগ্য। বাকশালের পক্ষে যার ঘাড়ে বন্দুক রেখে তত্বাবধায়ক সরকার আইন বাতিল করেছিলেন সেই বিচারপতি নাকি রাষ্টপতি হবে। আমরা এটা মানবো না। রাষ্ট্র চিরন্তন বস্তু। সেই রাষ্ট্র এবং সরকারকে আজ আপনারা গুলিয়ে ফেলেছেন। আপনারা খেলার কথা বলেন। আমরা মাঠে খেলতে গিয়ে দেখি প্লেয়ার পুলিশ ডিবি। এত খেলা খেলতে চান। এখন আপনারা ছক্কায় পোক্কা হয়ে গেছেন। লুডু খেলার একটা বৈশিষ্ট্য আছে। ছয় একবার উঠলে আবার মারতে হয়। আওয়ামী লীগ তিন ছয় মেরে ফেলেছে। তিন ছক্কায় তারা পোক্কা হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, ওবায়দুল কাদের অনেক বড় বড় কথা বলেন। আরে আপনার দলের লোকেরাই তো আপনার কথা শোনে না। মাঝে মাঝে মঞ্চ থেকে নেমে যান। আপনার আপন ভাই বলেছে ওবায়দুল কাদেরকে এ মাটিতে পা রাখতে দেব না। আর মাতব্বরি করতে আসবেন না। আপনাদের দিন শেষ। আমাদের সমস্ত নেতাকর্মীরা যখন কারাগারে তখন আপনাদের পুলিশ বাহিনী নিয়ে মাঠে নামতে হয়েছে। এর থেকে আপনারা আর উঠতে পারবেন না। আমরা বলেছিলাম ইভিএম মানি না। আজ তারাও সেটা মানতে বাধ্য হয়েছেন।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ বলেছেন, আজ ২৫ জানুয়ারি জাতির জন্য একটি কলঙ্কজনক দিন। স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। স্বাধীনতার পর আমরা দেখলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে কবর দেয়া হল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই আমরা এজন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করিনি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশের মেহনতী মানুষের জন্য স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। আজ দেশ বাকশালী কায়দায় চলছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যা করে তারা দিনের ভোট রাতে দিয়েছে। আমরা বেঁচে থাকতে বাংলাদেশে আর কোনো অবৈধ নির্বাচন হবে না। তারেক রহমানের নেতৃত্বে এদেশে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, জনগণ এ সরকারকে পছন্দ করে না। তারা এ সরকারের পরিবর্তন চায়। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলতে চাই ন্যায়ের পথে আসুন। এ দেশ কারও বাবার সম্পদ নয়। জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করবেন না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে থেকে এদেশের মানুষের কল্যাণে দশ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন। দশ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের পর দেশকে গড়ে তুলতে ২৭ দফা কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সরকারী দলের নেতাদের বলতে চাই অন্যায় অত্যাচার করে অনেকদূর এগিয়ে গেছেন। আর করবেন না। আপনারা জনসভা করতে হাত তুলে প্রতিশ্রুতি দেন। আমরা জনসভার জন্য প্রতিশ্রুতি দেই না। আপনারা সুষ্ঠু ধারার রাজনীতিতে চলে আসেন। নারায়ণগঞ্জে আমরা সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির প্রবর্তন করতে চাই।