১০ দফা দাবির প্রতি জনগণ সমর্থন জানিয়েছে : প্রিন্স
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩২ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:৩৫ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
১০ দফা দাবির প্রতি জনগণ সমর্থন জানিয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ১০টি বিভাগীয় শহরে সমাবেশ সফল করার মধ্য দিয়ে জনগণ বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল, তেল, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি, আওয়ামী সন্ত্রাস ও সরকারের দমন-নিপীড়ন, নির্যাতন বন্ধ, গণতন্ত্রবিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
আজ সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিভিন্ন বাধা, হামলা, গ্রেফতার, মামলাসহ দমন-নিপীড়ন উপেক্ষা করে ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার দেশব্যাপী ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ সফল করায় জাতীয়তাবদী দল-বিএনপির পক্ষ থেকে সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সকল স্তরের জনসাধারণসহ নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই সমাবেশ সফল করতে সারাদেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌর, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সকল স্তরের কমিটি ও সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের প্রতিও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তারা ১০দিনব্যাপী অক্লান্ত পরিশ্রম করে পাড়া, মহল্লা, হাট-বাজারে পথসভা, হাটসভা, প্রচারপত্র বিতরণ, প্রচার মিছিলসহ নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি বৈঠক করেছেন, জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। এই সমাবেশ সফল করার মধ্যদিয়ে জনগণ বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং চাল, ডাল, তেল, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি, আওয়ামী সন্ত্রাস ও সরকারের দমন-নিপীড়ন, নির্যাতন বন্ধ, গণতন্ত্র বিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন এবং চলমান আন্দোলন সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলাবাজ, মামলাবাজ সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বরাবরের মতোই বাধা বিঘœ সৃষ্টি করেছে, কোথাও কোথাও অঘোষিতভাবে পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে, গাড়ির রিজার্ভেশন বাতিলসহ যাত্রী পরিবহনের গাড়িতেও নেতাকর্মীদের আসতে দেয়া হয়নি। নেতাকর্মীরা কষ্ট করে পায়ে হেঁটে, ভ্যানে চড়ে, নৌকায় করে বা অন্য কোনো বিকল্প উপায়ে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ বিএনপির কর্মসূচির দিনে শান্তি সমাবেশের নামে পাল্টা সমাবেশ দিয়ে, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে মহড়া দিয়ে অশান্তি, সংঘাত সৃষ্টি করে। এবারও তারা একই পথ অবলম্বন করেছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা মহড়া দিয়ে সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম হামলা করেছে, নেতাকর্মীদের আহত করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলাকারীদের গ্রেফতার না করে উল্টো আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এমনকি ঘটনাস্থলে ছিলেন না, এমন অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে আসার সময় কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার নেতাকর্মীদের ওপর কালীগঞ্জের বারোবাজার নামকস্থানে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকারীরা হামলা চালায় এবং উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক বেনজির আহমেদ বাচ্চু, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব লিটন আলী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমানসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করে। এদের অনেকের মাথা ফেটে গেছে, হাত, পা, আঙুল, নাক ফেটে গেছে। সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাস, মাইক্রোবাসে হামলা করে ভাঙচুর করে। দৌলতপুর উপজেলা যুবদল নেতা আকিজ আহম্মেদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা বাড়ি ফেরার সময় নগরীর মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ডে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলার পাগলা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ শেখ, যুবদল কর্মী শিফাত মিয়া, ভালুকা উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শরীফুল ইসলাম শরীফ, সহসভাপতি মাসুদ রানা, ছাত্রনেতা রনি মিয়া, রায়হান মিয়া, ছাব্বির হোসেন, কাইয়ুমসহ ১৫ নেতাকর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয়। পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতার না করে উল্টো বিরুনিয়া ইউনিয়নের শ্রমিক নেতা এমদাদুল হক, ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা হারুন মিয়া, মুক্তার মিয়া, ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রদল কর্মী রিফাত মিয়া, ৯নং ওয়ার্ড শ্রমিকদল কর্মী রাশেদুলকে গ্রেফতার করে। হামলা বা গ্রেফতার করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এড. দিদারুল ইসলাম খান রাজু, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শামীম হোসেন, ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুল্লাহ ডালিমসহ ৭০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দায়ের করে। এমনকি ঘটনার সময় এরা কেউই ঘটনাস্থলে ছিলেন না।
এই সমাবেশের আগে প্রস্তুতি পর্ব চলাকালে ১ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ রব্বানী টুটুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ২ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনা জেলার প্রস্তুতি বৈঠক থেকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম কার্ণায়েন, সদস্য সচিব টিপু সুলতান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব জীবন তালুকদার, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জয়কে গ্রেফতার করে। শেরপুর জেলা বিএনিপর সহসভাপতি ও জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম, জেলা যুবদলের দফতর সম্পাদক রেজাউল করিম বাবুসহ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমান, সাবেক আহ্বায়ক রাসেল মিয়া, নকলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু রায়হান মুক্তি, নালিতাবাড়ী শহর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাঞ্চন মিয়া, নকলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুরাদুজ্জামান মাসুদ, ধানশাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি এরশাদ মিয়া, ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক চান্দু মিয়া, একই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আব্দুল করিম, গৌরীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মহিদুল ইসলাম মন্ডল, নালিতাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামানসহ শেরপুর সদর, শ্রীবর্দী, ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, নকলা উপজেলার ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে ট্রেনে যাওয়ার সময় নাটোরের আব্দুলপুর স্টেশনে যাওয়ার সময় সকাল ১১টায় উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়, তারা রেললাইনের পাথর নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বগিতে বৃষ্টির মতো পাথর ছুড়তে থাকে। এতে জয়পুরহাট জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আদনান শাহরিয়ার জয়পুরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম রেজা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব পিয়াস আহম্মেদ পৃথিবী, জেলা যুবদল নেতা মনোয়ার হোসেন শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন মারাত্মকভাবে আহত হন।
বিএনপির সদ্য ঘোষিত ইউনিয়ন পদযাত্রার কর্মসূচি সফল করতে মানিকগঞ্জে প্রস্তুতি পর্যালোচনার জন্য আগত শিবালয় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাছির মিয়া, শিমুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিটন মোল্লা একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আমরা এই গ্রেফতার, দমন-নিপীড়ন, মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এসব বন্ধ করে গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে, হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। জনবিচ্ছিন্ন সরকার গণআন্দোলনের ভয়ে ভীত হয়ে এই নিষ্ঠুর দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। দমন-নিপীড়ন করে জনগণ এবং নেতাকর্মীদের ভয় দেখানো যাবে না। যারা সমাবেশ, পদযাত্রার মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে ভয় পায় তারা জনবিচ্ছিন্ন এবং আন্দোলনের ভয়ে ভীত। এই সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই, মাথার ওপর থেকেও ছায়া সরে যাচ্ছে। এজন্য তারা দমন-নিপীড়ন করে আন্দোলন দমনের পথ বেছে নিয়েছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা, দমন করে আন্দোলন নস্যাৎ করার দিন শেষ। জনগণ আজ জেগে উঠেছে। এই সরকার জনগণের সরকার নয়। তারা গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতি, লুট-পাট করে জনগণের অর্থ পাচার করে দেশ-বিদেশে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ছে। অন্যদিকে সর্বগ্রাসী সংকটে জনগণ দিশেহারা। সরকার ও তার অনুগতদের দুর্নীতি, লুটপাটের কারণে বিদ্যুৎ, গ্যাসের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে। সরকার ও তার অনুগতদের দুর্নীতির মাশুল দিতে হচ্ছে জনগণকে। জনগণের চরম দুর্দিনে তাদের পকেট কেটে নিজেদের দুর্নীতির ফলে সৃষ্ট ঘাটতি পূরণ করছে সরকার। অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের কশাঘাতে জনজীবনে নাভিশ^াস উঠেছে। মানুষের আয়-ইনকাম সংকুচিত হয়ে গেছে। টিসিবি-ওএমএসের গাড়ির পেছনে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তসহ আয়-ইনকামবিহীন মানুষের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে। সেখানেও সকলকে চাল দেয়া যাচ্ছে না। চাল না পেয়ে নিরন্ন বুভুক্ষু মানুষ ট্রাকের ওপর পড়ে থাকা ছড়ানো ছিটানো চাল কুড়িয়ে নিচ্ছে। নিদারুণ কষ্টে আছে সাধারণ মানুষ, অত্যন্ত মানবেতর অবস্থায় তারা দিন যাপন করছে। জীবনযাত্রার ব্যয় কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় মানুষ দিশেহারা হয়ে নিত্যদিনের খাদ্য তালিকাসহ দৈনন্দিন ব্যবহারিক কাজের জিনিসও কাটছাঁট করছে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম খাওয়া এক প্রকার ভুলেই গেছে, চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু, সবজি কিনতেই তারা দিশেহারা। কাজ হারিয়ে ঋণ করে জীবন চালাতে গিয়ে তারা চরম বিপদে রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যার খবর গণমাধ্যমে আসছে। এ যেন ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষের প্রতিচ্ছবি, পদধ্বনি। অথচ সরকার নির্বিকার, মিথ্যা অহমিকা, মিথ্যাচার করে দেশের প্রকৃত চিত্র তার আড়াল করতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে ইমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, দেশের এই চরম দুর্দিনে আমরা আপনাদের মাধ্যমে সরকারকে দমন-নিপীড়ন করে আন্দোলন নসাৎ করার পথ পরিহার করার আহ্বান জানাচ্ছি এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী, গণতন্ত্রহরণকারী সরকারকে দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে সংঘাত উস্কানির পথ পরিহার করে গণদাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পথ সুগম করার ও জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার, সংসদ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাই। অন্যথায় গ্রাম, শহরের জনপদে অধিকার হারা, নিরন্ন বুভুক্ষু মানুষের যে পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে তাতে গণঅভ্যুত্থান অবশ্যম্ভাবী।