বিএনপির পদযাত্রাকে বাঁধাগ্রস্থ করতে দেশব্যাপী নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১২ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:৫৬ পিএম, ৫ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ইউনিয়ন পদযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং নেতাকর্মী, সমর্থক, জনসাধারণকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে জুলুমবাজ সরকার দেশব্যাপী নতুন করে গণ-গ্রেফতার, হয়রানি শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার জুরাইন থেকে জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহবায়ক গোলাম মাওলা শাহীনকে গ্রেফতার করে ২ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওতাধীন গেন্ডারিয়া থানা বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম কাসু, চকবাজার থানা ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি কোরবান খন্দকার, লালবাগ থানা ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি সৈয়দ জালাল উদ্দিন, কদমতলী থানা ৫৮নং ওয়ার্ড বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক বেলায়েত মাস্টার, বংশাল থানা ৩২নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আজিজ উল্লাহ, সদস্য মো. জনি, সাবেক কমিশনার বংশাল থান বিএনপির নেতা মোহাম্মদ রফিক, মতিঝিল থানা ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. মাইনুদ্দিন, সূত্রাপুর থানা ৪২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শেখ মো. ওসমান, মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বাবু, সূত্রাপুর থানা ৪২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ডালিম হাওলাদার ও শেখ মো. ফরহাদসহ ২৫ জন নেতাকর্মী এবং নেত্রকোনা জেলা মহিলা দলের সহ-প্রচার সম্পাদক ও মোহনগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মহিলা কাউন্সিলর মোছা. হেলেনা আক্তার হেনা, মদনগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফ আহমেদ সেকুল, মদন পৌর শাখা যুবদলের সদস্যসচিব মো. এনামুল হক, মদন উপজেলা ছাত্রদল নেতা পারভেজ আহমেদ লায়ন, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. জামাল মাস্টার, নাজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, রংছাতী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. মাহমুদুল ইসলাম, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. এমদাদ হোসেন, মেদনী ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, মেদনী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আরশাদ মিয়া, মৌগাতী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য হালিমুদ্দিন, সদস্য শাহানুল্লাহ, সদস্য মৌলা মিয়া, আমতলা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য রহিছ উদ্দিন, ময়নমনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা বিএনপি ১নং যুগ্ম আহবায়ক এম আর খাইরুল, গফরগাঁও উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. মতিন, সদস্য রতন মিয়া, সদস্য বাবুল মাস্টার, রসুলপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এনামুল হক, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক লিয়াকত আলী খান, রায়গঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ইকবাল হোসেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছ, রায়গঞ্জের ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন হোসেন, উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়ন যুবদল নেতা বুলবুল ইসলাম, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব রিয়াজ উদ্দিন, সলপ ইউনিয়ন যুবদল নেতা আমিরুল ইসলাম, কালিয়াহরিপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা কবির হোসেন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোখলেস হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা নাঈম হোসেন, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. জামাল উদ্দিন মাস্টার, নাজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, রংছাতি ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. মাহমুদুল হাসান, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সদস্য ও পদ্মাবিলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ইমদাদুল হক ইমদাদকে ভোররাতে তার নিজ বাসা থেকে বিনা ওয়ারেন্টে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এছাড়া যশোর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, যশোর পৌরসভার অন্তর্গত ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সিদ্দিক হোসেনসহ ১২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আজকের পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ফেনীর সকল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীরা মহড়া দিচ্ছে এবং ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব নূরুল আলমের বাড়িতে গিয়ে তারা হামলা করে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
গণ-আন্দোলনে, গণজোয়ারে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী সরকার এতটাই ভীত হয়েছে যে, পদযাত্রার মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকেও তারা সহ্য করতে পারছে না। আসলে জনবিচ্ছিন্ন সরকার জনআতঙ্কে ভুগছে। সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতা, অযোগ্যতা, দুর্নীতি, লুটপাটের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে জেগে উঠেছে। সরকার সৃষ্ট জনদুর্ভোগে মানুষ দিশেহারা।
সরকার দেশ-বিদেশে মুখে বলছে, বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনে কোনো বাধা নাই, অথচ প্রতিটি কর্মসূচির প্রাক্কালে গ্রেফতার, মামলা, হামলা ও পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে বিরোধী দলের প্রতিটি কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতে যারপরনাই সেই ব্যবস্থা করেছে। হামলাবাজ, মামলাবাজ সরকারের দমন-নিপীড়ন উপেক্ষা করে প্রতিটি কর্মসূচি সফল করে জনগণ এবং নেতাকর্মীরা যেভাবে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে এসেছেন, এভাবে আজ ইউনিয়ন পদযাত্রাসহ অন্যান্য কর্মসূচি ব্যাপকভাবে সফল করবেন।
বিবৃতিতে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স অবিলম্বে গোলাম মাওলা শাহীনসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও দমন-নিপীড়ন বন্ধ করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। একই সাথে এই দমন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য গণতন্ত্রকামী সকলকে আহবান জানান।