শেখ হাসিনা পালানোর সময় ওবায়দুল কাদেরও ছিল না : দুলু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩৬ পিএম, ৭ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৯:১০ পিএম, ৭ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের পর রংপুর মহানগর ও জেলা বিএনপিরসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর মহানগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপি'র কার্যালয়ের সামন থেকে বর্ণাঢ্য র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রতিক্ষণ শেষে সমাবেশ করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন, সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপি'র রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু । বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু’র সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রংপুর মহানগর বিএনপির জেলা আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজুর নবী ডন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক ভরসা, জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহ জিল্লুর রহমান জেম্স, মহানগর যুবদলের আহবায়ক নুরনবী চৌধুরী মিলন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জহির আলম নয়ন, সদস্য সচিব আতিকুল ইসলাম লেলিন, মহানগর কৃষক দলের সভাপতি শাহনেওয়াজ লাবু, সদস্য সচিব ফিরোজ হোসেন পিন্টু, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক আনোয়ার শাহাদত, সদস্য সচিব দিল মেরাজুল ইসলাম দুলু, জেলা স্বেচ্চাসেবক দলের আহবায়ক আল ইমরান সুজন, সদস্য সচিব জাকারিয়া ইসলাম জিম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ইমরান হোসেন, সদস্য সচিব নুর হাসান সুজন, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এ্যাড. রেজেকা সুলতানা ফেন্সি, সাধারণ সম্পাদক আরজানা বেগম, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শরীফ নেওয়াজ জোহা, সদস্য সচিব আবতাবুজ্জামান সুজন, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইমরান খান সুজন, সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রবি, জেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক আসাদুজ্জামান বাবু, সদস্য সচিব শামীম মিয়া প্রমুখ।
এসময় মহানগর ও জেলা বিএনপি, যুবদল, স্চ্ছোসেবক দল, ছাত্রদল, কৃষক দল, জিয়া পরিষদ, ওলামা দল, তাঁতী দল, শ্রমিক দল, জিয়া মঞ্চ, মৎস্যজীবি দলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।
এদিকে এরপর সন্ধ্যা সাতটায় রংপুর টাউন হলে জাসাস আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মহানগর ও জেলা বিএনপি এবং জাসাসের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন মহানগর জাসাসের আহবায়ক আমিরুল ইসলাম হারুন ও সঞ্চলানা করেন জেলা জাসাসের আহবায়ক নুরুজ্জামান মানিক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপি'র রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, স্বৈরাচারী সরকার দেশ থেকে পালিয়েছে। ছাত্র জনতা ও বিএনপি'র নেতাকর্মীরা দ্বিতীয় স্বাধীনতায় যোগ দেওয়ায় পালিয়েছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৬ বছর বিনা কারণে জেলে আটকে রেখেছে। প্রিয় নেতা তারেক রহমানকে দেশান্তরিত করেছে। আমরা ১৬ বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করেছি। এরপর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে সরকারের পতন হয়েছে। আওয়ামী লীগের পতন হলে চরমভাবে পতন হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর তার জানাজার লোক ছিল না। শেখ হাসিনা পালানোর সময় ওবায়দুল কাদেরও ছিল না।
তিনি বলেন, তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছে রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তনের জন্য। দেশের বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, প্রশাসন দলীয়করণ হয়েছে। আমি অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, আপনি অতিসত্ত্বর নির্বাচনের রোড ম্যাপ দিন। নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশ গঠনে ৩০ দফা সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠন করে এই দেশকে পরিচালনা করা সম্ভব। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দিয়ে দেশ পরিচালনা করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুল। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোটের দাবি জানিয়েছেন তারা। বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচারী হাসিনা এই দেশকে লুটেপুটে খেয়েছে। আমরা তা আর হতে দিব না। আমরা চাই অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। পলিটিকাল গভমেন্ট ছাড়া দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
দিনকাল/এসএস