স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনে বিএনপির কর্মসূচিতে সহযোগিতা করবে পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৯ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৪৯ পিএম, ৩ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে বিএনপির কর্মসূচিতে সহযোগিতা করবে পুলিশ। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের এমন আশ্বাসে আস্বস্ত হয়েছেন দলটির নেতারা।
আজ বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় পুলিশ সদর দফতরে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আইজিপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেয়া দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম।
আধা ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, আজকে পুলিশপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনি আমাদের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন এবং সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশ্বস্ত হয়েছি। বিএনপির কর্মসূচি পালনে পুলিশপ্রধান কী ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন- এমন প্রশ্নে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব বলেন, যেহেতু করোনাকাল তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুশৃংখল কর্মসূচি পালনের পরামর্শ দিয়েছেন।
পরে সদরদফতর ফটকে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আবদুস সালাম বলেন, সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের যে কর্মসূচি, এক মাসব্যাপী কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করেছি এবং পর্যায়ক্রমে এক বছরের কর্মসূচি হবে। সে ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য পুলিশপ্রধানকে আগেই চিঠি দিয়েছি এবং উনি আমাদের সময় দিয়েছেন। তিনি বলেন, কথা বলেছি, আমাদের কথা একটাই পঞ্চাশ বছর পূর্তির যে কর্মসূচি তা নির্বিঘেœ করতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে যেহেতু এটা আর বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধার দল। কাজেই এই বিষয়টাকে উপস্থাপন করার জন্যই আমরা কর্মসূচি নিয়েছি সারাদেশব্যাপী এবং সারাদেশব্যাপী কর্মসূচি যাতে করতে পারি, যাতে নির্বিঘ্নে করা যায়; এ ব্যাপারে ওনার (আইজিপি) সহযোগিতা চেয়েছি। এবং উনি ‘কাইন্ড এনাফ’। উনি বলেছেন, তাদের দিক থেকে কোনো অসুবিধা নেই। সারাদেশে জানিয়ে দিবেন-যাতে প্রোগ্রামগুলো ঠিকমত করতে পারেন। কিছু কিছু পরামর্শ আইজিপি দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বলেছি আমাদের দিক থেকে কখনও কোনো কিছু ‘ওই রকম’...এমন কিছু করি না যেটা অতীতে।
তিনি বলেন, আমরা উদাহরণ দিয়েছি। আপনি যখন কমিশনার ছিলেন, জানেন, দেখেছেন ঢাকা শহরে কিভাবে করেছি। কাজেই আমরা উদ্বোধন করব ১ মার্চ। ভেন্যুর জন্য যাতে অনুমতি দিয়ে দেন। আইজিপি বলেছেন- এখনই তিনি জানিয়ে দিবেন। যাতে আমরা প্রোগ্রাম করতে পারি।
আবদুস সালাম বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি র্যালি রয়েছে। পার্টি অফিসের সামনে থেকে র্যালি করতে চাই। ৩০ তারিখ সমাবেশ করার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়েছি; আইজিপি জানিয়েছেন তাদের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই। যথারীতি জানিয়ে দিবেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ কোনো দলের বিষয় নয়, এটা সর্বদলীয়, সর্বজনের। সে বিষয়ে আমরা (বিএনপি) সত্য ইতিহাস তুলে ধরতে চাই।
তিনি বলেন, দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই, জিয়াউর রহমানের পদক কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। যদিও জনগণ এটা কোনভাবে মানে না। সালাম বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে বলতে চাই- এই একবছর স্বাধীনতা পূর্তি উদযাপনের মধ্য দিয়ে সঠিক ইতিহাসটা তুলে ধরতে চাই। এই জন্য আমরা ১, ২, ৩ ও ৭ সব ডেগুলো অবজারভ করব। এই সমস্ত ডেগুলোতে কার কতটুকু কী অবদান ছিল। সেগুলো আমরা তুলে ধরতে চাই। কাউকে খাটো করে আমরা বড় হতে চাই না। আমরা চাই যার যতটুকু অবদান আছে, সে অবদানটুকু সে পাক।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত থেকে শহীদ জিয়ার যে যাত্রা শুরু, সে যাত্রার ইতিহাস যদি কেউ কেটে ফেলতে চায়; তাহলে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধটাই প্রশ্নবোধক হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমরা সরকারকেও বলব এবং যারা এই ধরনের হীন চক্রান্ত করছে। তাদেরকেও বলবো-যদি মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন। তাহলে সে ধরনের কোনো ষড়যন্ত্র বা চক্রান্তে যেন না যান।
পুলিশপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক বিজন কান্তি সরকার, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন প্রচার কমিটি সদস্যসচিব ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা কমিটির সদস্য সচিব ও দলের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন।