বগুড়ায় ছাত্রলীগে সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগ নেতা তাকদির খান খুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৪ পিএম, ১৬ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৫৪ এএম, ১৩ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকদির ইসলাম খান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় মোটর সাইকেলের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়ার জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা তাকদিরকে উপুর্যপুরি ছুরিকাঘাত করা হয়। এসময় দুই গ্রুপের আরো অন্তত ৯ জন আহত হয়।
স্থানীয়রা গুরুত্বর আহত তাকদিরসহ আশংকাজনক অবস্থায় সবাইকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন তাকদিরের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বেশ কয়েক ঘন্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে তিনি আজ বিকেল ৩ টার দিকে মৃত্যুবরন করেন।
এদিকে ওইদিন সংঘর্ষের ঘটনায় সদর থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়। গত শনিবার পৃথক দুটি পাল্টা পাল্টি মামলা করেন তাকদির ইসলামের মা আফরোজা ইসলাম ও আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য সোহাগ হাসান।
ছাত্রলীগ নেতা তাকবিরের মা’র মামলায় প্রধান আসামী করা হয় সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফকে। সাতজনের নাম উল্লেখ করে ওই মামলায় আসামী করা হয় অজ্ঞাত আরো ৩০- ৩৫ জনকে। এ মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন, জাহিদ হাসান (২৬), আনোয়ার হোসেন (২৭), মো. তারেক (২৭), বিধান চন্দ্র মোহন্ত (২৭), নিশাদ (২১) ও আরমান (২২)।
ছাত্রলীগ নেতা সোহাগের করা কাউন্টার মামলায় প্রধান আসামী তাকদিরসহ আরো ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। এমামলায় আসামীরা হলেন, তোফায়েল আহমেদ, হাসিবুল হাসান শান্ত, আব্দুল্লাহ ঈমন, জয় কুমার দাস, শাহাদত জামান সঞ্জয়, সামিউল পরান সজল, সিজান রহমান, ফেরদৌস আলম সাফি, মাহবুবুল সাফিন, হাবিবুর রহমান ও মেহেদী হাসান।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, তাকদির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। দুই পক্ষের মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।