আমি অসহায়, জিম্মি, অবরুদ্ধ আবদুল কাদের মির্জা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৬ এএম, ৭ এপ্রিল,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১০:১১ পিএম, ১০ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বাংলাদেশ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আজকে আমি অসহায়, আজকে আমি জিম্মি, আজকে আমি অবরুদ্ধ। আজকে পৌরসভার আঙ্গিনায় ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসির নির্দেশে আমি ত্রাণ বিতরণ করতে পারিনি। আজকে আমার বিরুদ্ধে ওবায়দুল কাদের সাহেব আওয়ামী জাসদ অস্ত্রধারীদেরকে ও আওয়ামী দুর্নীতিবাজ প্রশাসনকে কেন লেলিয়ে দিয়েছে? এটা দেশের মানুষ জানে। লেলিয়ে দিয়েছে আমাকে নেতাকর্মীশূন্য করার জন্য এবং আমার মুখ বন্ধ করার জন্য।
আজ মঙ্গলবার নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব মূলত ওনার স্ত্রীর অপকর্মকে ঢাকা দেওয়ার জন্য আমার মুখ বন্ধ করতে চায়। আমাকে নেতাকর্মীশূন্য করতে চায়। ওনার স্ত্রী সম্পর্কে আপনারা ভালো করে জানেন কি করতেছে। ওনার মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ ঠিকাদার বিএনপির। দুই-চারজন আছে আ.লীগের তারাও কাজগুলো পাইলে বিএনপির লোকদের কাছে কাজগুলো বিক্রি করে দেয়। ঠিকাদারদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে এপিএস। তার কোন কাজ নেই। সে আমার এলাকার লোক চিনে না। সে সেখান থেকে টাকা সংগ্রহ করে সচিব বেলায়েতের কাছে দেয়। সচিব বেলায়েত এটা তিন ভাগ করে। এক ভাগ তাদের মন্ত্রণালয়ে যারা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারী, তাদের দেয়। এক ভাগ তারেক জিয়ার জন্য পাঠায়। আরেক ভাগ মন্ত্রীর স্ত্রীর জন্য পাঠায়। এগুলা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।
কাদের মির্জা আরও বলেন, এ মহিলাকে মন্ত্রী আপনি বাঁচাতে পারবেন না। দুদকের মামলা আগেও আছে। আপনি চাপা দিয়ে রাখছেন। ওয়ান ইলেভেনের পর দুদকের মামলা হইছে। ওনার আত্মীয় স্বজনের নামে কয়টা ফ্ল্যাট আছে। ওনার বান্ধবীরা যারা বিদেশে থাকে, ওনার বোনের এক মেয়ে ফ্রান্সে না কোথায় থাকে। হাজার হাজার কোটি টাকা সেখানে আপনার জমা আছে। সব খবর আমার কাছে আছে। এখানে আপনার কোন কোন আত্মীয়, আপনার ভাইয়ের মেয়ে তার নিজস্ব লোকজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা আছে। এ গুলার সব খবর আমার কাছে আছে। লুকাইতে পারবেন না। আপনি বাঁচাতে পারবেন না। আপনার মন্ত্রীত্বের ক্ষমতা দিয়ে আপনি বাঁচাতে পারবেন না। এ দেশের জনগণ জানে। আর একটা জিনিস স্মরণ রাখবেন জনশ্রুতি হচ্ছে সবচেয়ে বড় ডকুমেন্ট। এ জনশ্রুতি আপনি বন্ধ করতে পারবেন না।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ওবায়দুল সাহেব যারা আজকে আপনার সম্মানহানি করছে, তাদেরকে আপনি শেল্টার দিচ্ছেন। আপনি শেষ বয়সে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছেন। আপনার স্ত্রীর আত্মীয় স্বজন, আপনার মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেকটা প্রজেক্টে তারা যায়। চট্টগ্রামের অফিস, কুমিল্লার অফিস, ঢাকার অফিস তাদের দখলে।