না’গঞ্জে ঘর ছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪০ পিএম, ৩ মে,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৩৪ এএম, ৯ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৫
সম্প্রতি হেফাজত ইসলামের ডাকা হরতাল সহিংসতায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা হয় একাধিক। বিএনপির এক মৃত নেতাকেও করা হয় আসামী। যিনি কারা অভ্যন্তরেই মারা যান। মিডিয়ায় বিষয়টি প্রকাশিত হলে পরে অবশ্য তা সংশোধন করে পুলিশ। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির দাবী তাদের কোন নেতাকর্মী হেফজতের হরতালের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ভৌতিক মামলা দায়ের করে। সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে অনেকটা নিরবে নিভৃতে কলেজে অধাক্ষ্য হিসাবে সময় কাটালোও তাকে করা হয় আসামী। বিএনপি নেতা অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মনিরুল ইসলাম রবি, মাজেদুল ইসলাম, জুয়েল রানা, জুয়েল প্রধানসহ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় মামলা। জ্বালাও পোড়াওয়ের অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। শুরু হয় ধরপাকর। বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয় বিএনপির নেতাকর্মী। পুলিশ শুরু করে গ্রেফতার অভিযান। ফলে নিজ ঘর ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান বিএনপি নেতাকর্মী। তারা এলাকা ছেড়ে পলাতক জীবনযাপন করছেন।
বিএনপির বেশ কয়েকজন মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী জানান, এই মুহুর্তে তারা গ্রেফতার হলে আইনী লড়াই করার মত তাদের আর্থিক সংগতি নেই। দীর্ঘদিন ধরে বেকারত্বের কারনে পারিবারিকভাবে তারা রয়েছেন অর্থ সংকটে। এর উপরে বিনা কারণে, বিনা দোষে তাদের মামলায় আসামী করায় তারা এখন পড়ে গেছেন এক অনিশ্চিয়তার মধ্যে। দলের পদধারী নেতারা অজ্ঞাত কারণে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতৃত্ব দূর্বলতা অনেক দিনের। কিন্তু কেন্দ্রীয়ভাবে এর উপযুক্ত সমাধান না দেয়ায় ফের বিপদগ্রস্থ নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতাকর্মীরা।
অভিযোগ উঠেছে, আহ্বায়ক কমিটির মুল নেতারাই এখন চলেন সরকারী দলের সঙ্গে লিয়াজো করে। তারা এখন নিজেদের নিয়েই বেশী ব্যস্ত। ফলে আশ্রয় দেবার মত এখন আর নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে কোন নেতা নেই। যার ফলশ্রুতিতে অসহায় হয়ে পড়েছে তৃনমুলের বিএনপির নেতাকর্মীরা।